•ঐতিহাসিক ম্যাক্স মুলারের মতে মধ্য এশিয়ার কাস্পিয়ান সাগরের তীরবর্তী এলাকায় আর্য জাতির উৎপত্তি। 1500 খ্রিস্টপূর্বাব্দে তারা হিন্দুকুশ পর্বতের খাইবার গিরিপথ দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। ইরানের পবিত্র গ্রন্থ ‘জেন্দ আবেস্তা' তে এর বর্ণনা পাওয়া যায়।
•আর্যরা প্রথমে আফগানিস্তান-পাকিস্তান পাঞ্জাব এবং উত্তর প্রদেশের পশ্চিমাংশে বসবাস শুরু করে এই সমগ্র অঞ্চলটিকে 'সপ্ত সিন্ধু' বা ‘land of seven rivers' (সিন্ধু, তার পাঁচটি উপনদী এবং সরস্বতী) বলা হয়।
•সংস্কৃত শব্দ ‘আর্য’ ও ফারসি শব্দ ‘আরীয়' একই, যার অর্থ হলো ‘বিশ্বস্ত জন', 'অভিজাত' বা 'এক পবিত্র জাতিভুক্ত মানুষ'। জার্মান পন্ডিত ফ্রেডরিক ম্যাক্স মুলারের মতে আর্য কোন জাতি নয় এটি একটি ভাষা।
•আর্য সমাজ ছিল পিতৃতান্ত্রিক। 'পরিবার' বা ‘কুল’ হল আর্য সমাজের মূল ভিত্তি। পরিবারের বয়স জ্যেষ্ঠ ব্যক্তিকে বলা হত কর্তা বা গৃহকর্তা বা কুলপতি। বৈদিক সমাজ চারটি বর্ণে বিভক্ত ছিল - ব্রাহ্মণ (পুরোহিত), ক্ষত্রিয় (যোদ্ধা বা দেশ রক্ষাকারী), বৈশ্য (বনিক বা কৃষক) এবং শুদ্র (পশুপালক)। জাতিভেদ প্রথা ও অস্পৃশ্যতার কোন অস্তিত্ব ছিলনা।
•শূদ্র বাদে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় ও বৈশ্যরা ‘চতুরাশ্রম প্রথা' মেনে চলত। এগুলি হল – ব্রহ্মচর্য, গার্হস্থ্য, বানপ্রস্থ ও সন্ন্যাস।
•নারীদের উপনয়ন বা পৈতা হত। গার্গী, মৈত্রেয়ী, মমতা, অপলা, ঘোষা, বিশাখা, বিশ্ববাড়া প্রভৃতি রমণীরা উল্লেখযোগ্য ছিল।
•গ্রামের প্রধান কে বলা হত গ্রাম উনি গরু ছিল সম্পদ ও সম্পত্তির মাপকাঠি গরুকে গোধন, গাবিষ্টি (যাকে কেন্দ্র করে যুদ্ধ হত) ও অঘ্ন্য (যা হত্যা করা নিষেধ) বলা হত। গরু ছিল বিনিময়ের প্রধান মাধ্যম। এছাড়া ‘মনা’ ও 'নিষ্ক' নামে দু ধরনের স্বর্ণ মুদ্রার প্রচলন ছিল।
•বৈদিক যুগে কতগুলি শক্তিশালী গ্রাম নিয়ে গড়ে উঠত ‘বিশ’ বা ‘জন’। যার প্রধান শাসনকর্তা কে বলা হত বিশপতি বা রাজন।
•রাজার স্বেচ্ছাচারকে নিয়ন্ত্রণ করতে এবং সুশাসন প্রণয়ন করতে সভা ও সমিতি নামে দুটি জনপ্রতিনিধি মূলক সংস্থার উন্মেষ ঘটে। উপজাতির বয়োজ্যেষ্ঠ প্রধানদের নিয়ে নির্বাচিত হত সভা, আর সমিতি হল সর্বসাধারণের পরিষদ। সভা থেকে সমিতি বেশি শক্তিশালী ছিল।
•বৈদিক যুগে ভ্রাম্যমান বণিকদের সার্থবাহ এবং ধনী বণিকদের শ্রেষ্ঠি বলা হত।
•সপ্তগ্রাম, তাম্রলিপ্ত, কাম্বে, দেবল, থানা ইত্যাদি ছিল উল্লেখযোগ্য বন্দর
•এই যুগে চিকিৎসকদের ভিশক বলা হত। সুদখোরদের বলা হতো কৃশিদিন।
•সমাজের উচ্চ বর্ণের পুরুষ ও নিম্ন বর্ণের নারীর বিবাহকে অনুলোম এবং নিম্ন বর্ণের পুরুষ ও উচ্চ বর্ণের নারীর বিবাহ কে প্রতিলোম বলা হত। ব্রাহ্মণ পিতা ও বৈশ্য মাতার সন্তানকে বৈদ্য এবং ব্রাহ্মণ পিতা ও শূদ্র মাতার সন্তানকে নিষাদ বলা হত। কায়স্তদের উৎপত্তি বৈদ্যদের থেকে।
•পরবর্তী বৈদিক যুগে কৌশাম্বি, কোশল, বিদর্ভ, অহিচ্ছত্র ও হস্তিনাপুর নগরে বাণিজ্য কেন্দ্র ছিল। বাণিজ নামে বণিক শ্রেনী তখন গড়ে উঠেছিল। এদের বণিক সংঘের নাম গণ। গণ-এর সভাপতিকে বলা হত শ্রেষ্ঠিন। ‘শতঅনিত্র' নামে একশত দ্বার বিশিষ্ট নৌকার দ্বারা বণিকরা ব্যাবিলন নগরে বাণিজ্য করেছিল।
•বৈদিক যুগে দুটি প্রজাতান্ত্রিক অঞ্চল হল মল্ল ও বৃজি।
•আর্যরা প্রথমে আফগানিস্তান-পাকিস্তান পাঞ্জাব এবং উত্তর প্রদেশের পশ্চিমাংশে বসবাস শুরু করে এই সমগ্র অঞ্চলটিকে 'সপ্ত সিন্ধু' বা ‘land of seven rivers' (সিন্ধু, তার পাঁচটি উপনদী এবং সরস্বতী) বলা হয়।
•সংস্কৃত শব্দ ‘আর্য’ ও ফারসি শব্দ ‘আরীয়' একই, যার অর্থ হলো ‘বিশ্বস্ত জন', 'অভিজাত' বা 'এক পবিত্র জাতিভুক্ত মানুষ'। জার্মান পন্ডিত ফ্রেডরিক ম্যাক্স মুলারের মতে আর্য কোন জাতি নয় এটি একটি ভাষা।
•আর্য সমাজ ছিল পিতৃতান্ত্রিক। 'পরিবার' বা ‘কুল’ হল আর্য সমাজের মূল ভিত্তি। পরিবারের বয়স জ্যেষ্ঠ ব্যক্তিকে বলা হত কর্তা বা গৃহকর্তা বা কুলপতি। বৈদিক সমাজ চারটি বর্ণে বিভক্ত ছিল - ব্রাহ্মণ (পুরোহিত), ক্ষত্রিয় (যোদ্ধা বা দেশ রক্ষাকারী), বৈশ্য (বনিক বা কৃষক) এবং শুদ্র (পশুপালক)। জাতিভেদ প্রথা ও অস্পৃশ্যতার কোন অস্তিত্ব ছিলনা।
•শূদ্র বাদে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় ও বৈশ্যরা ‘চতুরাশ্রম প্রথা' মেনে চলত। এগুলি হল – ব্রহ্মচর্য, গার্হস্থ্য, বানপ্রস্থ ও সন্ন্যাস।
•নারীদের উপনয়ন বা পৈতা হত। গার্গী, মৈত্রেয়ী, মমতা, অপলা, ঘোষা, বিশাখা, বিশ্ববাড়া প্রভৃতি রমণীরা উল্লেখযোগ্য ছিল।
•গ্রামের প্রধান কে বলা হত গ্রাম উনি গরু ছিল সম্পদ ও সম্পত্তির মাপকাঠি গরুকে গোধন, গাবিষ্টি (যাকে কেন্দ্র করে যুদ্ধ হত) ও অঘ্ন্য (যা হত্যা করা নিষেধ) বলা হত। গরু ছিল বিনিময়ের প্রধান মাধ্যম। এছাড়া ‘মনা’ ও 'নিষ্ক' নামে দু ধরনের স্বর্ণ মুদ্রার প্রচলন ছিল।
•বৈদিক যুগে কতগুলি শক্তিশালী গ্রাম নিয়ে গড়ে উঠত ‘বিশ’ বা ‘জন’। যার প্রধান শাসনকর্তা কে বলা হত বিশপতি বা রাজন।
•রাজার স্বেচ্ছাচারকে নিয়ন্ত্রণ করতে এবং সুশাসন প্রণয়ন করতে সভা ও সমিতি নামে দুটি জনপ্রতিনিধি মূলক সংস্থার উন্মেষ ঘটে। উপজাতির বয়োজ্যেষ্ঠ প্রধানদের নিয়ে নির্বাচিত হত সভা, আর সমিতি হল সর্বসাধারণের পরিষদ। সভা থেকে সমিতি বেশি শক্তিশালী ছিল।
•বৈদিক যুগে ভ্রাম্যমান বণিকদের সার্থবাহ এবং ধনী বণিকদের শ্রেষ্ঠি বলা হত।
•সপ্তগ্রাম, তাম্রলিপ্ত, কাম্বে, দেবল, থানা ইত্যাদি ছিল উল্লেখযোগ্য বন্দর
•এই যুগে চিকিৎসকদের ভিশক বলা হত। সুদখোরদের বলা হতো কৃশিদিন।
•সমাজের উচ্চ বর্ণের পুরুষ ও নিম্ন বর্ণের নারীর বিবাহকে অনুলোম এবং নিম্ন বর্ণের পুরুষ ও উচ্চ বর্ণের নারীর বিবাহ কে প্রতিলোম বলা হত। ব্রাহ্মণ পিতা ও বৈশ্য মাতার সন্তানকে বৈদ্য এবং ব্রাহ্মণ পিতা ও শূদ্র মাতার সন্তানকে নিষাদ বলা হত। কায়স্তদের উৎপত্তি বৈদ্যদের থেকে।
•পরবর্তী বৈদিক যুগে কৌশাম্বি, কোশল, বিদর্ভ, অহিচ্ছত্র ও হস্তিনাপুর নগরে বাণিজ্য কেন্দ্র ছিল। বাণিজ নামে বণিক শ্রেনী তখন গড়ে উঠেছিল। এদের বণিক সংঘের নাম গণ। গণ-এর সভাপতিকে বলা হত শ্রেষ্ঠিন। ‘শতঅনিত্র' নামে একশত দ্বার বিশিষ্ট নৌকার দ্বারা বণিকরা ব্যাবিলন নগরে বাণিজ্য করেছিল।
•বৈদিক যুগে দুটি প্রজাতান্ত্রিক অঞ্চল হল মল্ল ও বৃজি।
No comments:
Post a Comment
Note: Only a member of this blog may post a comment.