• পর্বত : সাধারণত 900 মিটারের বেশী উচু অনেক দূর বিস্তৃত শিলা দ্বারা গঠিত ভূমিরূপই হল পর্বত। পৃথিবীর স্থল ভাগের প্রায় চার ভাগের এক ভাগ পর্বতময়। পর্বতের বেশির ভাগ অংশই খাড়া ঢাল যুক্ত আর খুব উঁচু নিচু হয়। পর্বতের উপরের দিকের সরু সূচালো অংশটা হল পর্বত শৃঙ্গ। হিমালয় পর্বতের মাউন্ট এভারেস্ট পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু পর্বত শৃঙ্গ। এর উচ্চতা 8848 মিটার। দুটো পর্বত চূড়ার মাঝখানের নিচু খাতের মতো অংশটা হল পর্বত উপত্যকা। এরকম অনেকগুলো পর্বত শৃঙ্গ আর উপত্যকা বিরাট অঞ্চল জুড়ে অবস্থান করলে পর্বত শ্রেণী তৈরি হয়। এরকম অনেকগুলো পর্বতশ্রেণী বিভিন্ন দিক থেকে এক জায়গায় এসে মিশলে পর্বত গ্রন্থি তৈরি হয়। উৎপত্তি অনুসারে পর্বত প্রধানত তিন ধরনের হয় - ভঙ্গিল পর্বত, স্তুপ পর্বত এবং আগ্নেয় পর্বত।
• ভঙ্গিল পর্বত : ভূ আলোড়নের ফলে ভূপৃষ্ঠে ভাঁজ পড়ে এই পর্বতের সৃষ্টি হয়। এশিয়া মহাদেশের হিমালয়, ইউরোপের আল্পস, উত্তর আমেরিকার রকি, দক্ষিণ আমেরিকার আন্দিজ পর্বতমালা এই পর্বতের উদাহরণ। 1 – 2.5 কোটি বছর আগে যে ভঙ্গিল পর্বত গুলোর সৃষ্টি হয়েছে তারা হলো নবীন ভঙ্গিল পর্বত। যেমন রকি, আন্দিজ আল্পস, হিমালয়। কুড়ি কোটি বছরেরও আগে সৃষ্টি হওয়া ভঙ্গিল পর্বত গুলো হল প্রাচীন ভঙ্গিল পর্বত। যেমন উরাল, অ্যাপেলেশিয়ান, আরাবল্লী প্রভৃতি।
• স্তুপ পর্বত : ভূ-আলোড়নের ফলে ভূপৃষ্ঠে অনেক সময় ফাটল সৃষ্টি হয়। পরবর্তী কোন ভূ-আলোড়নের ফলে এই ফাটলগুলোর মাঝের ভূখণ্ড উঁচু হয়ে উঠে যেতে পারে অথবা দু’পাশের ভূখণ্ড নিচে বসে গিয়ে মাঝখানের ভূখণ্ড স্তূপের মত পর্বত সৃষ্টি করতে পারে। এই ধরনের পর্বত কে স্তুপ পর্বত বলা হয়। ভারতের সাতপুরা, জার্মানির ব্ল্যাক ফরেস্ট এবং ফ্রান্সের ভোজ এরকম স্তুপ পর্বত।
• আগ্নেয় পর্বত : ভূ-অভ্যন্তরের গলিত সান্দ্র ম্যাগমা, গ্যাস, জলীয়বাষ্প কোন ফাটল বা গহ্বরের মধ্যে দিয়ে বিস্ফোরণসহ প্রচন্ড জোরে অথবা ধীর শান্তভাবে ভূপৃষ্ঠে বেরিয়ে আসার প্রক্রিয়া হল অগ্ন্যুদগম। আর অগ্নুৎপাতের উৎস গুলো হলো আগ্নেয়গিরি। অগ্ন্যুদগমের সময় উৎক্ষিপ্ত পদার্থ ফাটল বা গহ্বরের চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এই ভাবে বারবার অগ্ন্যুৎপাতের সময় আগ্নেয় পদার্থ চারিদিকে জমা হয়ে শঙ্কু আকৃতির পর্বতের আকার ধারণ করে। সঞ্চয় কার্যের ফলে সৃষ্টি হয় বলে একে সঞ্চয়জাত বা আগ্নেয় পর্বত বলা হয়। জাপানের ফুজিয়ামা, ইতালির ভিসুভিয়াস, ভারতের ব্যারেন, ইন্দোনেশিয়ার ক্রাকাতোয়া এই জাতীয় পর্বত। সৃষ্টির আদি লগ্নে আগ্নেয়গিরি নির্গত জলীয়বাষ্প থেকেই ঘনীভবনের মাধ্যমে সাগর-মহাসাগর সৃষ্টি হয়। সক্রিয়তার ভিত্তিতে আগ্নেয়গিরিকে তিন ভাগে ভাগ করা যায় - সক্রিয় আগ্নেয়গিরি, সুপ্ত আগ্নেয়গিরি ও মৃত আগ্নেয়গিরি।
• সক্রিয় আগ্নেয়গিরি : যে সমস্ত আগ্নেয়গিরি সৃষ্টি হওয়ার পর থেকে অবিরামভাবে অথবা প্রায়ই অগ্নিপাত ঘটিয়ে চলেছে তাদের সক্রিয় আগ্নেয়গিরি বলা হয়। সিসিলি দ্বীপের এটনা, লিপারি দ্বীপের স্ট্রম্বোলী, হাওয়াই দ্বীপের মৌনালোয়া, কিলাওয়া, ভারতের ব্যারেন এই ধরনের আগ্নেয়গিরি। ভারতের ব্যারেন আগ্নেয়গিরি তে 1852 খ্রিষ্টাব্দের পর 1991 খ্রিস্টাব্দে আবার অগ্নুৎপাত ঘটতে দেখা যায়।
• সুপ্ত আগ্নেয়গিরি : যে সমস্ত আগ্নেয়গিরি একবার অগ্ন্যুৎপাতের পর দীর্ঘকাল নিষ্ক্রিয় থাকে তাদের সুপ্ত আগ্নেয়গিরি বলা হয়। জাপানের ফুজিয়ামা, ইন্দোনেশিয়ার ক্রাকাতোয়া এই ধরনের আগ্নেয়গিরি। ক্রাকাতোয়া আগ্নেয়গিরি দুশো বছর পর হঠাৎ সক্রিয় হয়ে ইন্দোনেশিয়ার তিনটে শহর ধ্বংস করে দেয়।
• মৃত আগ্নেয়গিরি : যে সমস্ত আগ্নেয়গিরি অতি প্রাচীনকালে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে কিন্তু ভবিষ্যতে অগ্ন্যুৎপাতের কোন সম্ভাবনা নেই তাদেরকে মৃত আগ্নেয়গিরি বলা হয়। মেক্সিকোর পারকুটিন, মায়ানমারের পোপো এই ধরনের আগ্নেয়গিরি।
• মালভূমি : আশপাশের অঞ্চলের সাপেক্ষে হঠাৎ উঁচু সাধারণ তো 300 মিটারের বেশী উচু বিস্তীর্ণ ভূভাগ চারিদিকে খাড়া ঢাল আছে এরকম ভূমিরূপ কে মালভূমি বলা হয়। মালভূমির গড় উচ্চতা 300 মিটার হলেও কিছু উঁচু মালভূমির উচ্চতা অনেক বেশি। পামির মালভূমি (উচ্চতা 4873 মিটার) পৃথিবীর সর্বোচ্চ মালভূমি বলে একে পৃথিবীর ছাদ বলা হয়। তিব্বত মালভূমি, ভারতের লাদাখ মালভূমি সবই উচ্চ মালভূমি। উৎপত্তি এবং অবস্থান অনুসারে মালভূমিকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায় –
• পর্বত বেষ্টিত মালভূমি : ভূ আলোড়নের ফলে ভঙ্গিল পর্বত সৃষ্টির সময় দুটি সমানতরাল পর্বতশ্রেণীর মাঝখানের স্থান পার্শ্ব চাপে উঁচু হয়ে এই রকমের মালভূমির সৃষ্টি করে। পর্বত বেষ্টিত মালভূমি গুলো সবচেয়ে উচু আর বিস্তৃত হয়। হিমালয় এবং কুয়েনলুন পর্বত শ্রেণীর মধ্যে অবস্থিত তিব্বত মালভূমি (3655 মিটার উঁচু) পৃথিবীর বৃহত্তম মালভূমি। এছাড়া ইরানের মালভূমি পর্বত বেষ্টিত মালভূমির উদাহরণ।
• মহাদেশীয় মালভূমি : দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, গ্রীনল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে আছে মহাদেশীয় মালভূমি।
• লাভা গঠিত মালভূমি : অগ্ন্যুৎপাতের সময় গরম লাভা বেরিয়ে এসে অনেক দূর ছড়িয়ে পড়ে বিরাট মালভূমি সৃষ্টি করে। ভারতের দাক্ষিণাত্য মালভূমি, মালব মালভূমি এরকম লাভা গঠিত মালভূমি।
• ব্যবচ্ছিন্ন মালভূমি : নদী, বায়ু, হিমবাহ প্রভৃতি প্রাকৃতিক শক্তির দ্বারা প্রাচীন মালভূমি অঞ্চল ধীরে ধীরে ক্ষয় প্রাপ্ত হয়ে উচ্চতা হারায়। এরপর ওই মালভূমির উপর দিয়ে নদনদী ও তার শাখা-প্রশাখা প্রবাহিত হলে এদের উপত্যকা বরাবর মালভূমিটি ছোট ছোট অংশে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এইভাবে কোন বিস্তৃত মালভূমি অঞ্চল নদী উপত্যকা দ্বারা বিচ্ছিন্ন হয়ে ব্যবচ্ছিন্ন মালভূমি সৃষ্টি করে। ছোটনাগপুর মালভূমি এই ধরনের মালভূমি।
• সমভূমি : কোন নিচু সমতল বিস্তীর্ণ ভূমি রূপকে সমভূমি বলা হয়। সমভূমি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে খুব বেশি উঁচু হয় না (300 মিটার এর কম)। প্রায় প্রতিটি মহাদেশ এই বিস্তীর্ণ সমভূমি আছে। এশিয়ার গাঙ্গেয় সমভূমি, আফ্রিকার নীলনদের সমভূমি, উত্তর আমেরিকার প্রেইরি, দক্ষিণ আমেরিকার পম্পাস পৃথিবী বিখ্যাত সমভূমি অঞ্চল। অনেক ধরনের সমভূমি লক্ষ্য করা যায় –
• পলি গঠিত সমভূমি : নদী, সমুদ্র, হ্রদে দীর্ঘদিন ধরে পলি জমে পলি গঠিত সমভূমি সৃষ্টি হয়। ভারতের সিন্ধু-গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্রের সমভূমি এরকম সমভূমির উদাহরণ।
• লাভা সমভূমি : আগ্নেয়গিরির লাভা জমে লাভা সমভূমির সৃষ্টি হয়। দাক্ষিণাত্যের উত্তর অংশের সমভূমি লাভা সমভূমির উদাহরণ।
• লোয়েস সমভূমি : মরুভূমির বালি বহু দূরে উড়ে গিয়ে সঞ্চিত হয়ে তৈরি হয় লোয়েস সমভূমি।
• ভঙ্গিল পর্বত : ভূ আলোড়নের ফলে ভূপৃষ্ঠে ভাঁজ পড়ে এই পর্বতের সৃষ্টি হয়। এশিয়া মহাদেশের হিমালয়, ইউরোপের আল্পস, উত্তর আমেরিকার রকি, দক্ষিণ আমেরিকার আন্দিজ পর্বতমালা এই পর্বতের উদাহরণ। 1 – 2.5 কোটি বছর আগে যে ভঙ্গিল পর্বত গুলোর সৃষ্টি হয়েছে তারা হলো নবীন ভঙ্গিল পর্বত। যেমন রকি, আন্দিজ আল্পস, হিমালয়। কুড়ি কোটি বছরেরও আগে সৃষ্টি হওয়া ভঙ্গিল পর্বত গুলো হল প্রাচীন ভঙ্গিল পর্বত। যেমন উরাল, অ্যাপেলেশিয়ান, আরাবল্লী প্রভৃতি।
• স্তুপ পর্বত : ভূ-আলোড়নের ফলে ভূপৃষ্ঠে অনেক সময় ফাটল সৃষ্টি হয়। পরবর্তী কোন ভূ-আলোড়নের ফলে এই ফাটলগুলোর মাঝের ভূখণ্ড উঁচু হয়ে উঠে যেতে পারে অথবা দু’পাশের ভূখণ্ড নিচে বসে গিয়ে মাঝখানের ভূখণ্ড স্তূপের মত পর্বত সৃষ্টি করতে পারে। এই ধরনের পর্বত কে স্তুপ পর্বত বলা হয়। ভারতের সাতপুরা, জার্মানির ব্ল্যাক ফরেস্ট এবং ফ্রান্সের ভোজ এরকম স্তুপ পর্বত।
• আগ্নেয় পর্বত : ভূ-অভ্যন্তরের গলিত সান্দ্র ম্যাগমা, গ্যাস, জলীয়বাষ্প কোন ফাটল বা গহ্বরের মধ্যে দিয়ে বিস্ফোরণসহ প্রচন্ড জোরে অথবা ধীর শান্তভাবে ভূপৃষ্ঠে বেরিয়ে আসার প্রক্রিয়া হল অগ্ন্যুদগম। আর অগ্নুৎপাতের উৎস গুলো হলো আগ্নেয়গিরি। অগ্ন্যুদগমের সময় উৎক্ষিপ্ত পদার্থ ফাটল বা গহ্বরের চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এই ভাবে বারবার অগ্ন্যুৎপাতের সময় আগ্নেয় পদার্থ চারিদিকে জমা হয়ে শঙ্কু আকৃতির পর্বতের আকার ধারণ করে। সঞ্চয় কার্যের ফলে সৃষ্টি হয় বলে একে সঞ্চয়জাত বা আগ্নেয় পর্বত বলা হয়। জাপানের ফুজিয়ামা, ইতালির ভিসুভিয়াস, ভারতের ব্যারেন, ইন্দোনেশিয়ার ক্রাকাতোয়া এই জাতীয় পর্বত। সৃষ্টির আদি লগ্নে আগ্নেয়গিরি নির্গত জলীয়বাষ্প থেকেই ঘনীভবনের মাধ্যমে সাগর-মহাসাগর সৃষ্টি হয়। সক্রিয়তার ভিত্তিতে আগ্নেয়গিরিকে তিন ভাগে ভাগ করা যায় - সক্রিয় আগ্নেয়গিরি, সুপ্ত আগ্নেয়গিরি ও মৃত আগ্নেয়গিরি।
• সক্রিয় আগ্নেয়গিরি : যে সমস্ত আগ্নেয়গিরি সৃষ্টি হওয়ার পর থেকে অবিরামভাবে অথবা প্রায়ই অগ্নিপাত ঘটিয়ে চলেছে তাদের সক্রিয় আগ্নেয়গিরি বলা হয়। সিসিলি দ্বীপের এটনা, লিপারি দ্বীপের স্ট্রম্বোলী, হাওয়াই দ্বীপের মৌনালোয়া, কিলাওয়া, ভারতের ব্যারেন এই ধরনের আগ্নেয়গিরি। ভারতের ব্যারেন আগ্নেয়গিরি তে 1852 খ্রিষ্টাব্দের পর 1991 খ্রিস্টাব্দে আবার অগ্নুৎপাত ঘটতে দেখা যায়।
• সুপ্ত আগ্নেয়গিরি : যে সমস্ত আগ্নেয়গিরি একবার অগ্ন্যুৎপাতের পর দীর্ঘকাল নিষ্ক্রিয় থাকে তাদের সুপ্ত আগ্নেয়গিরি বলা হয়। জাপানের ফুজিয়ামা, ইন্দোনেশিয়ার ক্রাকাতোয়া এই ধরনের আগ্নেয়গিরি। ক্রাকাতোয়া আগ্নেয়গিরি দুশো বছর পর হঠাৎ সক্রিয় হয়ে ইন্দোনেশিয়ার তিনটে শহর ধ্বংস করে দেয়।
• মৃত আগ্নেয়গিরি : যে সমস্ত আগ্নেয়গিরি অতি প্রাচীনকালে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে কিন্তু ভবিষ্যতে অগ্ন্যুৎপাতের কোন সম্ভাবনা নেই তাদেরকে মৃত আগ্নেয়গিরি বলা হয়। মেক্সিকোর পারকুটিন, মায়ানমারের পোপো এই ধরনের আগ্নেয়গিরি।
• মালভূমি : আশপাশের অঞ্চলের সাপেক্ষে হঠাৎ উঁচু সাধারণ তো 300 মিটারের বেশী উচু বিস্তীর্ণ ভূভাগ চারিদিকে খাড়া ঢাল আছে এরকম ভূমিরূপ কে মালভূমি বলা হয়। মালভূমির গড় উচ্চতা 300 মিটার হলেও কিছু উঁচু মালভূমির উচ্চতা অনেক বেশি। পামির মালভূমি (উচ্চতা 4873 মিটার) পৃথিবীর সর্বোচ্চ মালভূমি বলে একে পৃথিবীর ছাদ বলা হয়। তিব্বত মালভূমি, ভারতের লাদাখ মালভূমি সবই উচ্চ মালভূমি। উৎপত্তি এবং অবস্থান অনুসারে মালভূমিকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায় –
• পর্বত বেষ্টিত মালভূমি : ভূ আলোড়নের ফলে ভঙ্গিল পর্বত সৃষ্টির সময় দুটি সমানতরাল পর্বতশ্রেণীর মাঝখানের স্থান পার্শ্ব চাপে উঁচু হয়ে এই রকমের মালভূমির সৃষ্টি করে। পর্বত বেষ্টিত মালভূমি গুলো সবচেয়ে উচু আর বিস্তৃত হয়। হিমালয় এবং কুয়েনলুন পর্বত শ্রেণীর মধ্যে অবস্থিত তিব্বত মালভূমি (3655 মিটার উঁচু) পৃথিবীর বৃহত্তম মালভূমি। এছাড়া ইরানের মালভূমি পর্বত বেষ্টিত মালভূমির উদাহরণ।
• মহাদেশীয় মালভূমি : দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, গ্রীনল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে আছে মহাদেশীয় মালভূমি।
• লাভা গঠিত মালভূমি : অগ্ন্যুৎপাতের সময় গরম লাভা বেরিয়ে এসে অনেক দূর ছড়িয়ে পড়ে বিরাট মালভূমি সৃষ্টি করে। ভারতের দাক্ষিণাত্য মালভূমি, মালব মালভূমি এরকম লাভা গঠিত মালভূমি।
• ব্যবচ্ছিন্ন মালভূমি : নদী, বায়ু, হিমবাহ প্রভৃতি প্রাকৃতিক শক্তির দ্বারা প্রাচীন মালভূমি অঞ্চল ধীরে ধীরে ক্ষয় প্রাপ্ত হয়ে উচ্চতা হারায়। এরপর ওই মালভূমির উপর দিয়ে নদনদী ও তার শাখা-প্রশাখা প্রবাহিত হলে এদের উপত্যকা বরাবর মালভূমিটি ছোট ছোট অংশে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এইভাবে কোন বিস্তৃত মালভূমি অঞ্চল নদী উপত্যকা দ্বারা বিচ্ছিন্ন হয়ে ব্যবচ্ছিন্ন মালভূমি সৃষ্টি করে। ছোটনাগপুর মালভূমি এই ধরনের মালভূমি।
• সমভূমি : কোন নিচু সমতল বিস্তীর্ণ ভূমি রূপকে সমভূমি বলা হয়। সমভূমি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে খুব বেশি উঁচু হয় না (300 মিটার এর কম)। প্রায় প্রতিটি মহাদেশ এই বিস্তীর্ণ সমভূমি আছে। এশিয়ার গাঙ্গেয় সমভূমি, আফ্রিকার নীলনদের সমভূমি, উত্তর আমেরিকার প্রেইরি, দক্ষিণ আমেরিকার পম্পাস পৃথিবী বিখ্যাত সমভূমি অঞ্চল। অনেক ধরনের সমভূমি লক্ষ্য করা যায় –
• পলি গঠিত সমভূমি : নদী, সমুদ্র, হ্রদে দীর্ঘদিন ধরে পলি জমে পলি গঠিত সমভূমি সৃষ্টি হয়। ভারতের সিন্ধু-গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্রের সমভূমি এরকম সমভূমির উদাহরণ।
• লাভা সমভূমি : আগ্নেয়গিরির লাভা জমে লাভা সমভূমির সৃষ্টি হয়। দাক্ষিণাত্যের উত্তর অংশের সমভূমি লাভা সমভূমির উদাহরণ।
• লোয়েস সমভূমি : মরুভূমির বালি বহু দূরে উড়ে গিয়ে সঞ্চিত হয়ে তৈরি হয় লোয়েস সমভূমি।
No comments:
Post a Comment
Note: Only a member of this blog may post a comment.