•মাটির শিলা লক্ষণ, বুনন, রং, খনিজ ও জৈব পদার্থের পরিমাণ এবং জল ধারণ ক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে "ভারতের কৃষি গবেষণা পরিষদ" বা "ইন্ডিয়ান এগ্রিকালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট" ভারতের মাটিকে 27 টি ভাগে ভাগ করেছে।
•ভারতের 46 শতাংশ অঞ্চল পাললিক মৃত্তিকায় গঠিত।
•পাললিক মৃত্তিকা কে দুই ভাগে ভাগ করা যায়, খাদার বা নবীন পলিমাটি এবং ভাঙ্গর বা পুরানো পলিমাটি।
•গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র ও অন্যান্য নদী তীরবর্তী অঞ্চলে খাদার মৃত্তিকা দেখা যায়।
•গঠন অনুযায়ী খাদার মৃত্তিকাকে তিন ভাগে ভাগ করা যায় - দোআঁশ মাটি, এঁটেল মাটি এবং বেলে মাটি।
•পাঞ্জাব, উত্তর প্রদেশ, বিহার, অসম ও পশ্চিমবঙ্গের নদী দূরবর্তী উচ্চভূমি অঞ্চলে ভাঙ্গর মৃত্তিকা দেখা যায়।
•উচ্চ গঙ্গা সমভূমি অঞ্চলে বিশেষত পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের উচ্চ দোয়াব অঞ্চলে অত্যন্ত সূক্ষ্ম কণার মৃত্তিকা দ্বারা গঠিত তরঙ্গায়িত উচ্চভূমি দেখা যায় একে ভুর বলে।
•ভারতের প্রায় 17 শতাংশ অঞ্চল জুড়ে কৃষ্ণ মৃত্তিকা লক্ষ্য করা যায়।
•মহারাষ্ট্রের মালভূমি, গুজরাটের ব্রোচ, বরোদা ও সুরাট জেলা এবং উত্তর কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশের নর্মদা উপত্যকা, তামিলনাড়ুর অংশবিশেষ নিয়ে গঠিত দাক্ষিণাত্যের লাভা গঠিত মালভূমি অঞ্চলে এই ধরনের মৃত্তিকা দেখা যায়।
•কৃষ্ণ মৃত্তিকা রেগুর এবং কৃষ্ণ কার্পাস মৃত্তিকা নামেও পরিচিত।
•রেগুর মৃত্তিকা লাভা গঠিত কালো ব্যাসল্ট শিলা ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে সৃষ্টি হয়। এজন্য এর রং কালো হয়।
•কৃষ্ণ মৃত্তিকা অঞ্চল তুলা চাষের জন্য বিখ্যাত।
•কৃষ্ণ মৃত্তিকায় আখ, চিনা বাদাম, তামাক, ধান, গম, জোয়ার, বাজরা, ভুট্টা ও নানা রকম ডাল প্রচুর পরিমাণে উৎপন্ন হয়।
•ভারতের প্রায় 11 শতাংশ এলাকা জুড়ে লোহিত মৃত্তিকা লক্ষ্য করা যায়।
•দাক্ষিণাত্য মালভূমির অন্তর্গত কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, অন্ধ্র প্রদেশ, দক্ষিণ-পূর্ব মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা এবং বিহারের ছোটনাগপুর মালভূমি অঞ্চলে লোহিত মৃত্তিকা দেখা যায়।
•লোহার ভাগ বেশি থাকার জন্য লোহিত মৃত্তিকার রং লাল হয়।
•জলসেচের সাহায্যে লোহিত মৃত্তিকায় রাগি, তৈলবীজ, জোয়ার ও সামান্য ধান উৎপন্ন করা হয়।
•ভারতের প্রায় 8 শতাংশ অঞ্চলে ল্যাটেরাইট মৃত্তিকা দেখা যায়।
•কর্ণাটক, কেরালা, মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা, মহারাষ্ট্র, অসম, মেঘালয় ও বিহারের ছোটনাগপুর মালভূমিতে ল্যাটেরাইট মৃত্তিকা দেখা যায়।
•লোহিত মৃত্তিকার একটি বিশেষ শ্রেণী হল ল্যাটেরাইট মৃত্তিকা। গ্রানাইট শিলার আবহবিকার এর ফলেই ক্রান্তীয় ও উপক্রান্তীয় অঞ্চলে এই মৃত্তিকা সৃষ্টি হয়।
•ল্যাটিন শব্দ ল্যাটার এর অর্থ ইট। ইটের মতন শক্ত ও লাল রঙের বলে এই মৃত্তিকার নাম ল্যাটেরাইট।
•রুশ শব্দ পডসল এর অর্থ ধূসর। পশ্চিম হিমালয় এবং নীলগিরি পর্বতের উচ্চ পার্বত্য অংশে সরলবর্গীয় বনভূমির লতা-পাতা, কান্ড, ফল, ফুল প্রভৃতি জমে এক রকমের অম্ল প্রকৃতির ধূসর রঙের অনুর্বর মাটির সৃষ্টি হয়, একে পডসল মৃত্তিকা বলে।
•রাজস্থান, গুজরাট, কাথিয়াবাড় ও কচ্ছের অংশবিশেষে বালুকাময় মরু মৃত্তিকা লক্ষ্য করা যায়। এই মৃত্তিকার অপর নাম সিরোজেম।
•উত্তরাখণ্ডের দেরাদুন শহরে মৃত্তিকা গবেষণাগার আছে।
•ঝুম চাষ এক ধরনের স্থান পরিবর্তন শীল কৃষি পদ্ধতি।
•লাল বা হলুদ রঙের অনুর্বর মৃত্তিকায় লোহা ও অ্যালুমিনিয়ামের ভাগ বেশি থাকায় এই মৃত্তিকাকে পেডালফার বলে।
•চেস্টনাট ও সিরোজেম মৃত্তিকায় বালি ও ক্যালসিয়ামের প্রাধান্য থাকে।
No comments:
Post a Comment
Note: Only a member of this blog may post a comment.