• 1320 খ্রিস্টাব্দে ‘কারানা তুর্কি' গাজী মালিক শেষ খলজি শাসক খসরু শাহ কে হত্যা করেন এবং গিয়াসউদ্দিন তুঘলক নাম ধারণ করে দিল্লীর সিংহাসনে বসেন।
• মহম্মদ বিন তুঘলক : গিয়াস উদ্দিনের মৃত্যুর পর জ্যেষ্ঠপুত্র ফকরুদ্দিন জুনায়েদ খাঁ ‘মহম্মদ বিন তুঘলক' নাম ধারণ করে 1325 খ্রিস্টাব্দে দিল্লীর সিংহাসনে বসেন। প্রজাদের মঙ্গলের জন্য তিনি যে সব পরিকল্পনা গ্রহণ করেন তার পেছনে যথেষ্ট যুক্তি থাকলেও ধৈর্যহীনতা ও বাস্তব বুদ্ধির অভাবে তা ব্যর্থ হয়। এজন্য তাকে পাগলা রাজা বলা হয় । আসলে তিনি কিন্তু পাগল নন। সাম্রাজ্যের আয় বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে তিনি গঙ্গা-যমুনার দোয়াব অঞ্চলে রাজস্বের হার বহুগুণ বৃদ্ধি করেন। কয়েক বছর অনাবৃষ্টির ফলে এই অঞ্চলে ফসল না হওয়ায় কৃষকদের অবস্থা খুব শোচনীয় ছিল। এজন্য বাড়তি করের বোঝা বইতে না পেরে অনেক কৃষক বনে জঙ্গলে পালিয়ে যান । এর ফলে কৃষিকার্য বন্ধ হয় এবং দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। শেষে কৃষক দের প্রকৃত অবস্থা জানার পর তাদের দুর্দশা লাঘবের জন্য সুলতান তাদের অন্য অর্থ, বীজ এবং কৃষি ঋণ দান করেন । কৃষির উন্নতি ও পতিত জমি পুনরুদ্ধারের জন্য তিনি ‘আমির-ই-কোহী' নামে একটি কৃষি বিভাগের পত্তন করেন। দু বছরে প্রায় 70 লক্ষ টাকা ব্যয়ের পর শেষ পর্যন্ত এই পরিকল্পনা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে সন্নিকটে অবস্থিত হওয়ায় দিল্লিতে সর্বদা মঙ্গল আক্রমণের সম্ভাবনা ছিল এজন্য 1326-27 খ্রিস্টাব্দে তিনি দিল্লি থেকে দাক্ষিণাত্যের দেবগিরিতে রাজধানী স্থানান্তরিত করেন এবং তার নাম রাখেন দৌলতাবাদ। সরকারি দপ্তর গুলিসহ দিল্লির সকল নাগরিককে দেবগিরিতে যেতে বাধ্য করেন। যাত্রীদের সুবিধার্থে দীর্ঘ 700 মাইল পথ নির্মাণ করেন এবং তার দুপাশে প্রচুর সরাইখানা নির্মাণ করেন। এজন্য তার প্রচুর অর্থ ব্যয় হয়। 1333 খ্রিস্টাব্দে তিনি আবার দিল্লিতে তার রাজধানী স্থানান্তরিত করেন। 1328-29 খ্রিস্টাব্দে মঙ্গল নেতা তারমাসিরিন ভারত আক্রমণ এবং পাঞ্জাব, লাহোর ও মুলতান বিধ্বস্ত করে দিল্লী পর্যন্ত অগ্রসর হন। মঙ্গলদের বিরুদ্ধে কোনো প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ না করে প্রচুর অর্থের বিনিময়ে তিনি তাদের প্রত্যাবর্তনে সম্মত করেন। রৌপ্য সংকটের কারণে 1329-30 খ্রিস্টাব্দে চীন এবং পারস্যের অনুকরণে তিনি ব্রোঞ্জের এক ধরনের প্রতীকী মুদ্রার প্রচলন করেন। যাতে এই মুদ্রা জাল না হয় সেজন্য তিনি কোন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। ফলে জাল নোটে দেশ ভরে যায়। ব্রোঞ্জ এর পরিবর্তে পুনরায় তিনি রৌপ্যমুদ্রা প্রদানে বাধ্য হন। 1337 খ্রিস্টাব্দে মহম্মদ বিন তুঘলক কাংরা অঞ্চলের নগরকোট দুর্গ জয় করেন। হিমালয়ের পাদদেশে তার কুর্মাচল ও কারাজল অভিযান সফল হয়। খোরাসান ও ইরাক জয়ের উদ্দেশ্যে 3 লক্ষ 70 হাজার সৈন্যের এক বাহিনী গঠন করে এক বছর ধরে তিনি তাদের পোষণ করেন। প্রভূত অর্থ অপচয় করে শেষ পর্যন্ত এই পরিকল্পনা পরিত্যাগ করেন। সুলতানের অদূরদর্শিতার কারণে অভিজাত ও সাধারণ মানুষ দেশের নানা প্রান্তে বিদ্রোহ শুরু করেন। হরিহর ও বুক্ক বিদ্রোহীদের সাহায্যে বিজয়নগর রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। আলাউদ্দিন বাহমান শাহ বিদ্রোহী আমিরদের সাহায্যে স্বাধীন বাহমনী রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। বিন তুঘলক এর রাজত্বকালে 1334 খ্রিস্টাব্দে বিখ্যাত পর্যটক ইবন বতুতা ভারতে আসেন। তার সফরনামা বা ‘কিতাব-উল-রাহেলা' গ্রন্থ থেকে সমকালীন ইতিহাস জানা যায়। 1351 খ্রিস্টাব্দে সিন্ধু অভিযানের সময় মোহাম্মদ বিন তুঘলক এর মৃত্যু হয়।
• ফিরোজ শাহ তুঘলক : মুহাম্মদ বিন তুঘলক এর মৃত্যুর পর 1351 খ্রিস্টাব্দে তাঁর খুল্লতাত পুত্র ফিরোজশাহ 46 বছর বয়সে সিংহাসনে বসেন। হিসার, ফিরোজপুর, ফতেহাবাদ, ফিরোজ শাহ কোটলা এবং জৌনপুর প্রভৃতি নগরগুলি স্থাপন করেন। তিনি ইক্তা প্রথা বংশপরম্পরায় চালু করেন। তিনি মোহাম্মদ বিন তুঘলকের আমলে 24 প্রকার অবৈধ কর বাতিল করেন। কোরানে উল্লেখিত কেবল মাত্র চারটি কর ধার্য করেন ১) খারাজ বা ভূমি কর, ২) থামস্ বা যুদ্ধে লুণ্ঠিত দ্রব্যের এক পঞ্চমাংশ, ৩) জিজিয়া বা অমুসলমানদের কাছ থেকে সংগৃহীত ধর্ম কর এবং ৪) জাকাত বা মুসলিমদের কাছ থেকে আদায়কৃত ধর্ম কর। পরবর্তীতে উলেমাদের সম্মতি নিয়ে তিনি সেচ কর ধার্য করেন। বেকার সমস্যা সমাধানের জন্য তিনি একটি কর্ম নিয়োগ দপ্তর, দরিদ্র মুসলিম কন্যাদের বিবাহ এবং অনাথ ও বিধবাদের ভরণপোষণের জন্য দেওয়ান-ই-খয়রাত নামে একটি বিভাগ এবং দরিদ্রদের চিকিৎসার জন্য দার-উল-সাফা নামে একটি দাতব্য চিকিৎসালয় প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি পঞ্চ নদের খাল খনন করেন। তার আমলে এক লক্ষ আশি হাজার ক্রীতদাস ছিল । তার রাজত্বকালে কুতুবমিনার বজ্রপাতে ক্ষতিগ্রস্ত হলে তিনি তার সংস্কার করেন। তার রাজধানী ছিল ফিরোজাবাদ। রাজধানীর সৌন্দর্যায়নের জন্য আমবালার তোপারা থেকে এবং মিরাট থেকে অশোকের দুটি পিলার তিনি নিয়ে আসেন। ফতুহাত ফিরোজশাহী নামে ফারসি ভাষায় একটি বই রচনা করেন। তারিখ-ই-ফিরোজশাহী এবং ফতোয়া-ই-জাহানদারি গ্রন্থের রচয়িতা জিয়াউদ্দিন বারানী তার রাজসভা অলংকৃত করতেন। খাজা আব্দুল মালিক ইসামি ফুতুহ-উস-সালাতিন নামে গ্রন্থ রচনা করেন। ফিরোজ শাহ আধা এবং বিখ নামে দুটি মুদ্রার প্রচলন করেন। জনহিতকর কার্যাবলীর কথা স্মরণ করে ঐতিহাসিক হেনরি ইলিয়ট ও এলফিনস্টোন তাকে সুলতানি যুগের আকবর বলে অভিহিত করেছেন।
• তৈমুর লং : মধ্য এশিয়ার সমরখন্দের তুর্কি নেতা আমির তার্ঘির বীর পুত্র তৈমুর লং 1336 খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। দিল্লির তুঘলক বংশের শেষ সুলতান নাসিরুদ্দিন মাহমুদ শাহ এর শাসন কালে 1398 খ্রিস্টাব্দে তৈমুর ভারত আক্রমণ করেন। তৈমুর 15 দিন ধরে দিল্লিতে নির্বিচারে লক্ষাধিক নর-নারীকে হত্যা করেন। 1399 খ্রিস্টাব্দে সমরখন্দে ফেরার পথে মিরাট, হরিদ্বার, ফিরোজাবাদ, জম্মু, শিবালিক পার্বত্য অঞ্চল ইত্যাদি লুন্ঠন করে প্রচুর ধনরত্ন ও বন্দী নারী পুরুষকে নিয়ে দেশে ফেরেন।
• মহম্মদ বিন তুঘলক : গিয়াস উদ্দিনের মৃত্যুর পর জ্যেষ্ঠপুত্র ফকরুদ্দিন জুনায়েদ খাঁ ‘মহম্মদ বিন তুঘলক' নাম ধারণ করে 1325 খ্রিস্টাব্দে দিল্লীর সিংহাসনে বসেন। প্রজাদের মঙ্গলের জন্য তিনি যে সব পরিকল্পনা গ্রহণ করেন তার পেছনে যথেষ্ট যুক্তি থাকলেও ধৈর্যহীনতা ও বাস্তব বুদ্ধির অভাবে তা ব্যর্থ হয়। এজন্য তাকে পাগলা রাজা বলা হয় । আসলে তিনি কিন্তু পাগল নন। সাম্রাজ্যের আয় বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে তিনি গঙ্গা-যমুনার দোয়াব অঞ্চলে রাজস্বের হার বহুগুণ বৃদ্ধি করেন। কয়েক বছর অনাবৃষ্টির ফলে এই অঞ্চলে ফসল না হওয়ায় কৃষকদের অবস্থা খুব শোচনীয় ছিল। এজন্য বাড়তি করের বোঝা বইতে না পেরে অনেক কৃষক বনে জঙ্গলে পালিয়ে যান । এর ফলে কৃষিকার্য বন্ধ হয় এবং দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। শেষে কৃষক দের প্রকৃত অবস্থা জানার পর তাদের দুর্দশা লাঘবের জন্য সুলতান তাদের অন্য অর্থ, বীজ এবং কৃষি ঋণ দান করেন । কৃষির উন্নতি ও পতিত জমি পুনরুদ্ধারের জন্য তিনি ‘আমির-ই-কোহী' নামে একটি কৃষি বিভাগের পত্তন করেন। দু বছরে প্রায় 70 লক্ষ টাকা ব্যয়ের পর শেষ পর্যন্ত এই পরিকল্পনা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে সন্নিকটে অবস্থিত হওয়ায় দিল্লিতে সর্বদা মঙ্গল আক্রমণের সম্ভাবনা ছিল এজন্য 1326-27 খ্রিস্টাব্দে তিনি দিল্লি থেকে দাক্ষিণাত্যের দেবগিরিতে রাজধানী স্থানান্তরিত করেন এবং তার নাম রাখেন দৌলতাবাদ। সরকারি দপ্তর গুলিসহ দিল্লির সকল নাগরিককে দেবগিরিতে যেতে বাধ্য করেন। যাত্রীদের সুবিধার্থে দীর্ঘ 700 মাইল পথ নির্মাণ করেন এবং তার দুপাশে প্রচুর সরাইখানা নির্মাণ করেন। এজন্য তার প্রচুর অর্থ ব্যয় হয়। 1333 খ্রিস্টাব্দে তিনি আবার দিল্লিতে তার রাজধানী স্থানান্তরিত করেন। 1328-29 খ্রিস্টাব্দে মঙ্গল নেতা তারমাসিরিন ভারত আক্রমণ এবং পাঞ্জাব, লাহোর ও মুলতান বিধ্বস্ত করে দিল্লী পর্যন্ত অগ্রসর হন। মঙ্গলদের বিরুদ্ধে কোনো প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ না করে প্রচুর অর্থের বিনিময়ে তিনি তাদের প্রত্যাবর্তনে সম্মত করেন। রৌপ্য সংকটের কারণে 1329-30 খ্রিস্টাব্দে চীন এবং পারস্যের অনুকরণে তিনি ব্রোঞ্জের এক ধরনের প্রতীকী মুদ্রার প্রচলন করেন। যাতে এই মুদ্রা জাল না হয় সেজন্য তিনি কোন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। ফলে জাল নোটে দেশ ভরে যায়। ব্রোঞ্জ এর পরিবর্তে পুনরায় তিনি রৌপ্যমুদ্রা প্রদানে বাধ্য হন। 1337 খ্রিস্টাব্দে মহম্মদ বিন তুঘলক কাংরা অঞ্চলের নগরকোট দুর্গ জয় করেন। হিমালয়ের পাদদেশে তার কুর্মাচল ও কারাজল অভিযান সফল হয়। খোরাসান ও ইরাক জয়ের উদ্দেশ্যে 3 লক্ষ 70 হাজার সৈন্যের এক বাহিনী গঠন করে এক বছর ধরে তিনি তাদের পোষণ করেন। প্রভূত অর্থ অপচয় করে শেষ পর্যন্ত এই পরিকল্পনা পরিত্যাগ করেন। সুলতানের অদূরদর্শিতার কারণে অভিজাত ও সাধারণ মানুষ দেশের নানা প্রান্তে বিদ্রোহ শুরু করেন। হরিহর ও বুক্ক বিদ্রোহীদের সাহায্যে বিজয়নগর রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। আলাউদ্দিন বাহমান শাহ বিদ্রোহী আমিরদের সাহায্যে স্বাধীন বাহমনী রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। বিন তুঘলক এর রাজত্বকালে 1334 খ্রিস্টাব্দে বিখ্যাত পর্যটক ইবন বতুতা ভারতে আসেন। তার সফরনামা বা ‘কিতাব-উল-রাহেলা' গ্রন্থ থেকে সমকালীন ইতিহাস জানা যায়। 1351 খ্রিস্টাব্দে সিন্ধু অভিযানের সময় মোহাম্মদ বিন তুঘলক এর মৃত্যু হয়।
• ফিরোজ শাহ তুঘলক : মুহাম্মদ বিন তুঘলক এর মৃত্যুর পর 1351 খ্রিস্টাব্দে তাঁর খুল্লতাত পুত্র ফিরোজশাহ 46 বছর বয়সে সিংহাসনে বসেন। হিসার, ফিরোজপুর, ফতেহাবাদ, ফিরোজ শাহ কোটলা এবং জৌনপুর প্রভৃতি নগরগুলি স্থাপন করেন। তিনি ইক্তা প্রথা বংশপরম্পরায় চালু করেন। তিনি মোহাম্মদ বিন তুঘলকের আমলে 24 প্রকার অবৈধ কর বাতিল করেন। কোরানে উল্লেখিত কেবল মাত্র চারটি কর ধার্য করেন ১) খারাজ বা ভূমি কর, ২) থামস্ বা যুদ্ধে লুণ্ঠিত দ্রব্যের এক পঞ্চমাংশ, ৩) জিজিয়া বা অমুসলমানদের কাছ থেকে সংগৃহীত ধর্ম কর এবং ৪) জাকাত বা মুসলিমদের কাছ থেকে আদায়কৃত ধর্ম কর। পরবর্তীতে উলেমাদের সম্মতি নিয়ে তিনি সেচ কর ধার্য করেন। বেকার সমস্যা সমাধানের জন্য তিনি একটি কর্ম নিয়োগ দপ্তর, দরিদ্র মুসলিম কন্যাদের বিবাহ এবং অনাথ ও বিধবাদের ভরণপোষণের জন্য দেওয়ান-ই-খয়রাত নামে একটি বিভাগ এবং দরিদ্রদের চিকিৎসার জন্য দার-উল-সাফা নামে একটি দাতব্য চিকিৎসালয় প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি পঞ্চ নদের খাল খনন করেন। তার আমলে এক লক্ষ আশি হাজার ক্রীতদাস ছিল । তার রাজত্বকালে কুতুবমিনার বজ্রপাতে ক্ষতিগ্রস্ত হলে তিনি তার সংস্কার করেন। তার রাজধানী ছিল ফিরোজাবাদ। রাজধানীর সৌন্দর্যায়নের জন্য আমবালার তোপারা থেকে এবং মিরাট থেকে অশোকের দুটি পিলার তিনি নিয়ে আসেন। ফতুহাত ফিরোজশাহী নামে ফারসি ভাষায় একটি বই রচনা করেন। তারিখ-ই-ফিরোজশাহী এবং ফতোয়া-ই-জাহানদারি গ্রন্থের রচয়িতা জিয়াউদ্দিন বারানী তার রাজসভা অলংকৃত করতেন। খাজা আব্দুল মালিক ইসামি ফুতুহ-উস-সালাতিন নামে গ্রন্থ রচনা করেন। ফিরোজ শাহ আধা এবং বিখ নামে দুটি মুদ্রার প্রচলন করেন। জনহিতকর কার্যাবলীর কথা স্মরণ করে ঐতিহাসিক হেনরি ইলিয়ট ও এলফিনস্টোন তাকে সুলতানি যুগের আকবর বলে অভিহিত করেছেন।
• তৈমুর লং : মধ্য এশিয়ার সমরখন্দের তুর্কি নেতা আমির তার্ঘির বীর পুত্র তৈমুর লং 1336 খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। দিল্লির তুঘলক বংশের শেষ সুলতান নাসিরুদ্দিন মাহমুদ শাহ এর শাসন কালে 1398 খ্রিস্টাব্দে তৈমুর ভারত আক্রমণ করেন। তৈমুর 15 দিন ধরে দিল্লিতে নির্বিচারে লক্ষাধিক নর-নারীকে হত্যা করেন। 1399 খ্রিস্টাব্দে সমরখন্দে ফেরার পথে মিরাট, হরিদ্বার, ফিরোজাবাদ, জম্মু, শিবালিক পার্বত্য অঞ্চল ইত্যাদি লুন্ঠন করে প্রচুর ধনরত্ন ও বন্দী নারী পুরুষকে নিয়ে দেশে ফেরেন।
No comments:
Post a Comment
Note: Only a member of this blog may post a comment.