• ঔরঙ্গজেবের পরবর্তী মোগল সম্রাটগণ দুর্বল এবং অযোগ্য ছিলেন ।
• বাহাদুর শাহ (1707-1712) : বাহাদুর শাহ প্রথম শাহ আলম উপাধি ধারণ করেন । তিনি ‘শাহ-ই-বেখবর’ নামেও পরিচিত ছিলেন। তিনি গুরু গোবিন্দ সিংহ এবং ছত্রশাল এর সঙ্গে শান্তি স্থাপন করেন। তিনি মারাঠাদের সরদেশমুখী আদায়ের অনুমতি দেন এবং সাহু কে মুক্তি দেন।
• ফারুকশিয়ার(1713-1719) : ফারুকশিয়ার সৈয়দ ভাতৃদ্বয় (সৈয়দ হুসেন আলী ও সৈয়দ আব্দুল্লাহ খান) এর সাহায্যে সাম্রাজ্যঃ পরিচালনা করতেন। বান্দা বাহাদুর কে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন । 1719 খ্রিষ্টাব্দে মারাঠাদের সাহায্যে সৈয়দ ভাতৃদ্বয় ফারুকশিয়ার কে হত্যা করেন। পরে মুঘল সম্রাট মোহাম্মদ শাহ এবং হায়দ্রাবাদের নিজাম চিন-কলিচ-খান ষড়যন্ত্র করে সৈয়দ ভাতৃদ্বয় কে হত্যা করেন।
• মোহাম্মদ শাহ(1719-1738) : মোহাম্মদ শাহ আমোদপ্রিয় রাজা ছিলেন এবং তার ডাক নাম ছিল রঙ্গিলা । 1739 খ্রিস্টাব্দে ইরানের শাসক নাদির শাহ ‘কারনাল’ এর যুদ্ধে মোহাম্মদ শাহকে পরাজিত করেন এবং বিখ্যাত ময়ূর সিংহাসন ও কহিনুর হিরে নিয়ে যান । তার রাজত্বকালে চিন-কলিচ-খান (নিজাম-উল-মুলক) হায়দ্রাবাদ, মুর্শিদকুলি খাঁ বাংলা এবং সাদ্দাত খান অযোধ্যা কে মুঘল সাম্রাজ্যের থেকে বিচ্ছিন্ন করে স্বাধীন শাসকে পরিণত হন।
• আহমদ শাহ(1748-1754) : আহমদ শাহ এর সময় অযোধ্যার নবাব সফদর জং মুঘল সাম্রাজ্যের উজির বা প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
• দ্বিতীয় শাহ আলম(1759-1806) : 1764 খ্রিস্টাব্দে দ্বিতীয় শাহ আলম, বাংলার মীর কাশিম এবং অযোধ্যার নবাব সুজা-উদ-দৌলার সঙ্গে মিলে বক্সারের প্রান্তরে রবার্ট ক্লাইভের ইংরেজ বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে উপনীত হন । এই যুদ্ধ বক্সারের যুদ্ধ নামে পরিচিত । এই যুদ্ধে দ্বিতীয় শাহ আলম, সুজা-উদ-দৌলা এবং মীর কাশিমের মিলিত বাহিনী পরাজিত হয়। এই যুদ্ধে রবার্ট ক্লাইভের সেনাপতি ছিলেন মেজর হেক্টর মনরো ।
• দ্বিতীয় আকবর(1806-1837) : তিনি রামমোহনকে রাজা উপাধি দিয়েছিলেন । নিজের ভাতা বৃদ্ধির জন্য তিনি রাজা রামমোহন রায় কে লন্ডনে পাঠিয়েছিলেন।
• দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ(1837-1857) : ইংরেজরা দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ কে লালকেল্লায় প্রায় গৃহবন্দি করে রেখেছিলেন । সিপাহী বিদ্রোহের সময় বিদ্রোহীরা দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ কে ভারতের সম্রাট হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। এই বিদ্রোহের পরে দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ কে রেঙ্গুনে নির্বাসিত করা হয়।
• আহমদ শাহ আবদালী : নাদির শাহ এর অন্যতম সেনাপতি আহমদ শাহ আবদালী 1748 থেকে 1767 খ্রিস্টাব্দের মধ্যে বেশ কয়েকবার ভারতবর্ষে আক্রমন করেন। 1761 খ্রিস্টাব্দে পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধে তিনি মারাঠাদের পরাজিত করেন। এই যুদ্ধে মারাঠাদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সদাশিব রাও এবং পেশোয়া ছিলেন বালাজি বাজিরাও ।
• নাদির শাহের আক্রমণ : 1738 খ্রিস্টাব্দের শেষদিকে পারস্যের অধিপতি নাদির শাহ ভারত আক্রমণ করেন । আফগানিস্তান ও পাঞ্জাব দখলের পর তিনি দিল্লির দিকে অগ্রসর হন।1739 খ্রিস্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসে পানিপথের অদূরে কার্নাল নামক স্থানে মোগল সম্রাট মোহাম্মদ শাহ তার কাছে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হন এবং 50 লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার শর্তে সন্ধি স্বাক্ষর করতে বাধ্য হন। ক্ষতিপূরণের অর্থ আদায়ের উদ্দেশ্যে নাদির শাহ দিল্লিতে আসেন এবং দেওয়ান-ই-খাস এ অবস্থান করেন। এসময় নাদির শাহের মৃত্যু হয়েছে বলে গুজব রটে এবং দিল্লি বাসিরা নাদির শাহের 900 জন সৈন্যকে হত্যা করে। ক্রুদ্ধ নাদির শাহ এর নির্দেশে দীর্ঘ 7 ঘণ্টা ধরে নাদির শাহের সেনাবাহিনী দিল্লী নগরীতে ব্যাপক হত্যাকান্ড ও লুণ্ঠন চালায় এবং শেষ পর্যন্ত মোহাম্মদ শাহেদ কাতর অনুরোধে তিনি ক্ষান্ত হন। এরপর তিনি শাহজাহানের বিখ্যাত ময়ূর সিংহাসন ও কোহিনুর মনি, প্রায় 15 কোটি মুদ্রা, প্রচুর মণিমাণিক্য, আসবাবপত্র, পোশাক-পরিচ্ছদ এবং 300 হাতি, 10 হাজার ঘোড়া ও 10 হাজার উট সহ স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন। মোহাম্মদ শাহ সিন্ধু, কাবুল ও পশ্চিম পাঞ্জাব নাদির শাহ ওকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হন এবং লাহোরের মোগল শাসন কর্তা নাদির শাহকে বাৎসরিক 50 লক্ষ টাকা দিতে স্বীকৃত হন।
• বাহাদুর শাহ (1707-1712) : বাহাদুর শাহ প্রথম শাহ আলম উপাধি ধারণ করেন । তিনি ‘শাহ-ই-বেখবর’ নামেও পরিচিত ছিলেন। তিনি গুরু গোবিন্দ সিংহ এবং ছত্রশাল এর সঙ্গে শান্তি স্থাপন করেন। তিনি মারাঠাদের সরদেশমুখী আদায়ের অনুমতি দেন এবং সাহু কে মুক্তি দেন।
• ফারুকশিয়ার(1713-1719) : ফারুকশিয়ার সৈয়দ ভাতৃদ্বয় (সৈয়দ হুসেন আলী ও সৈয়দ আব্দুল্লাহ খান) এর সাহায্যে সাম্রাজ্যঃ পরিচালনা করতেন। বান্দা বাহাদুর কে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন । 1719 খ্রিষ্টাব্দে মারাঠাদের সাহায্যে সৈয়দ ভাতৃদ্বয় ফারুকশিয়ার কে হত্যা করেন। পরে মুঘল সম্রাট মোহাম্মদ শাহ এবং হায়দ্রাবাদের নিজাম চিন-কলিচ-খান ষড়যন্ত্র করে সৈয়দ ভাতৃদ্বয় কে হত্যা করেন।
• মোহাম্মদ শাহ(1719-1738) : মোহাম্মদ শাহ আমোদপ্রিয় রাজা ছিলেন এবং তার ডাক নাম ছিল রঙ্গিলা । 1739 খ্রিস্টাব্দে ইরানের শাসক নাদির শাহ ‘কারনাল’ এর যুদ্ধে মোহাম্মদ শাহকে পরাজিত করেন এবং বিখ্যাত ময়ূর সিংহাসন ও কহিনুর হিরে নিয়ে যান । তার রাজত্বকালে চিন-কলিচ-খান (নিজাম-উল-মুলক) হায়দ্রাবাদ, মুর্শিদকুলি খাঁ বাংলা এবং সাদ্দাত খান অযোধ্যা কে মুঘল সাম্রাজ্যের থেকে বিচ্ছিন্ন করে স্বাধীন শাসকে পরিণত হন।
• আহমদ শাহ(1748-1754) : আহমদ শাহ এর সময় অযোধ্যার নবাব সফদর জং মুঘল সাম্রাজ্যের উজির বা প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
• দ্বিতীয় শাহ আলম(1759-1806) : 1764 খ্রিস্টাব্দে দ্বিতীয় শাহ আলম, বাংলার মীর কাশিম এবং অযোধ্যার নবাব সুজা-উদ-দৌলার সঙ্গে মিলে বক্সারের প্রান্তরে রবার্ট ক্লাইভের ইংরেজ বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে উপনীত হন । এই যুদ্ধ বক্সারের যুদ্ধ নামে পরিচিত । এই যুদ্ধে দ্বিতীয় শাহ আলম, সুজা-উদ-দৌলা এবং মীর কাশিমের মিলিত বাহিনী পরাজিত হয়। এই যুদ্ধে রবার্ট ক্লাইভের সেনাপতি ছিলেন মেজর হেক্টর মনরো ।
• দ্বিতীয় আকবর(1806-1837) : তিনি রামমোহনকে রাজা উপাধি দিয়েছিলেন । নিজের ভাতা বৃদ্ধির জন্য তিনি রাজা রামমোহন রায় কে লন্ডনে পাঠিয়েছিলেন।
• দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ(1837-1857) : ইংরেজরা দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ কে লালকেল্লায় প্রায় গৃহবন্দি করে রেখেছিলেন । সিপাহী বিদ্রোহের সময় বিদ্রোহীরা দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ কে ভারতের সম্রাট হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। এই বিদ্রোহের পরে দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ কে রেঙ্গুনে নির্বাসিত করা হয়।
• আহমদ শাহ আবদালী : নাদির শাহ এর অন্যতম সেনাপতি আহমদ শাহ আবদালী 1748 থেকে 1767 খ্রিস্টাব্দের মধ্যে বেশ কয়েকবার ভারতবর্ষে আক্রমন করেন। 1761 খ্রিস্টাব্দে পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধে তিনি মারাঠাদের পরাজিত করেন। এই যুদ্ধে মারাঠাদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সদাশিব রাও এবং পেশোয়া ছিলেন বালাজি বাজিরাও ।
• নাদির শাহের আক্রমণ : 1738 খ্রিস্টাব্দের শেষদিকে পারস্যের অধিপতি নাদির শাহ ভারত আক্রমণ করেন । আফগানিস্তান ও পাঞ্জাব দখলের পর তিনি দিল্লির দিকে অগ্রসর হন।1739 খ্রিস্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসে পানিপথের অদূরে কার্নাল নামক স্থানে মোগল সম্রাট মোহাম্মদ শাহ তার কাছে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হন এবং 50 লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার শর্তে সন্ধি স্বাক্ষর করতে বাধ্য হন। ক্ষতিপূরণের অর্থ আদায়ের উদ্দেশ্যে নাদির শাহ দিল্লিতে আসেন এবং দেওয়ান-ই-খাস এ অবস্থান করেন। এসময় নাদির শাহের মৃত্যু হয়েছে বলে গুজব রটে এবং দিল্লি বাসিরা নাদির শাহের 900 জন সৈন্যকে হত্যা করে। ক্রুদ্ধ নাদির শাহ এর নির্দেশে দীর্ঘ 7 ঘণ্টা ধরে নাদির শাহের সেনাবাহিনী দিল্লী নগরীতে ব্যাপক হত্যাকান্ড ও লুণ্ঠন চালায় এবং শেষ পর্যন্ত মোহাম্মদ শাহেদ কাতর অনুরোধে তিনি ক্ষান্ত হন। এরপর তিনি শাহজাহানের বিখ্যাত ময়ূর সিংহাসন ও কোহিনুর মনি, প্রায় 15 কোটি মুদ্রা, প্রচুর মণিমাণিক্য, আসবাবপত্র, পোশাক-পরিচ্ছদ এবং 300 হাতি, 10 হাজার ঘোড়া ও 10 হাজার উট সহ স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন। মোহাম্মদ শাহ সিন্ধু, কাবুল ও পশ্চিম পাঞ্জাব নাদির শাহ ওকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হন এবং লাহোরের মোগল শাসন কর্তা নাদির শাহকে বাৎসরিক 50 লক্ষ টাকা দিতে স্বীকৃত হন।
No comments:
Post a Comment
Note: Only a member of this blog may post a comment.