• 712 খ্রিস্টাব্দে ইরাকের শাসনকর্তা অল হাজ্জাজের সেনাপতি মুহাম্মদ বিন কাসিম সিন্ধু প্রদেশ আক্রমণ করেন। এই সময় সিন্ধু দেশে দাহির রাজত্ব করতেন। মোহাম্মদ বিন কাসিম দাহির কে রাওয়ের যুদ্ধে পরাজিত ও নিহত করেন। আরবদের সিন্ধু আক্রমনই ছিল প্রথম মুসলিম সম্প্রদায়ের ভারত আক্রমণ।
• সুলতান মামুদ : 997 খ্রিস্টাব্দে সুলতান মাহমুদ গজনীর সিংহাসনে বসেন। 1001 খ্রিস্টাব্দে তিনি প্রথম ভারত বর্ষ আক্রমণ করেন এবং পাঞ্জাবের সম্রাট জয়পালকে ওয়াইহিন্দের প্রথম যুদ্ধে পরাস্ত এবং নিহত করেন। 1008 খ্রিস্টাব্দে তিনি পাঞ্জাবের হিন্দু শাহী শাসক আনন্দ পাল কে ওয়াইহিন্দের দ্বিতীয় যুদ্ধে পরাস্ত করেন। 1001 খ্রিস্টাব্দ থেকে 1027 খ্রিস্টাব্দের মধ্যে তিনি মোট 17 বার ভারত বর্ষ আক্রমণ করেন। তিনি থানেশ্বর, মথুরা এবং কনৌজ লুন্ঠন করে। 1025 খ্রিস্টাব্দে 80 হাজার সৈন্য নিয়ে তিনি গুজরাটের অনহিলবাড়ার ( কাথিয়াবাড় উপকূলে অবস্থিত ) সোমনাথ মন্দির লুণ্ঠন করেন। এখান থেকে তিনি দু'কোটি স্বর্ণমুদ্রা, 200 মন সোনা এবং প্রচুর ধন সম্পদ লুন্ঠন করেন। তার ভারত বর্ষ আক্রমণের মূল উদ্দেশ্য ছিল কেবলমাত্র লুণ্ঠন সাম্রাজ্য বিস্তার নয়। তিনজন বিখ্যাত ব্যক্তি তার রাজসভা অলংকৃত করতেন – শাহনামার রচয়িতা পারসিক কবি ফিরদৌসি, তহকিক-ই-হিন্দ গ্রন্থের রচয়িতা আল-বিরুনী এবং কিতাব-উদ-ইয়ামিনি গ্রন্থের রচয়িতা উতবি।
• মহম্মদ ঘোরী : মোহাম্মদ ঘোরী আফগানিস্তানের একটি ছোট্ট রাজ্যের শাসক ছিলেন। সুলতান মাহমুদের মতো কেবলমাত্র ভারত বর্ষ লুণ্ঠন তার উদ্দেশ্য ছিল না, তিনি উত্তর ভারত কে তার সাম্রাজ্যভুক্ত করতে চেয়েছিলেন । 1191 খ্রিস্টাব্দে দিল্লি ও আজমিরের চৌহান বংশীয় রাজা তৃতীয় পৃথ্বীরাজ চৌহান এর কাছে মোহাম্মদ ঘোরী তরাইনের প্রথম যুদ্ধে পরাস্ত হন। যুদ্ধের কারণ হিসাবে চারণ কবি চাঁদবরদৈ এর ‘পৃথ্বীরাজ রাসো' গ্রন্থে উল্লেখ আছে কনৌজের গাহোড়বাল বংশীয় রাজা জয় চাঁদের সুন্দরী কন্যা সংযুক্তা কে অপহরণ করে পৃথ্বীরাজ বিবাহ করলে অপমানিত হয়ে জয়চাঁদ তার বিরুদ্ধে মোহাম্মদ ঘড়িকে যুদ্ধে প্ররোচিত করেন। 1192 খ্রিস্টাব্দে পূর্ব পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে মহম্মদ ঘোড়ি পৃথ্বীরাজ এর বিরুদ্ধে আবার অস্ত্র ধারণ করেন এবং দ্বিতীয় তরাইনের যুদ্ধে তাকে পরাস্ত করেন। দিল্লিতে সুলতানি রাজ স্থাপিত হয়। 1194 খ্রিস্টাব্দে কনৌজের রাজা জয় চাঁদকে চান্দরের যুদ্ধে পরাজিত করেন। 1206 খ্রিস্টাব্দে মোহাম্মদ ঘোরী সিন্ধুর খোকর বা ইসলামিয়া সম্প্রদায়ের আক্রমণে নিহত হলে তার ক্রীতদাস ও সেনাপতি কুতুবউদ্দিন আইবক দিল্লিতে দাস বংশের প্রতিষ্ঠা করেন।
• সুলতান মামুদ : 997 খ্রিস্টাব্দে সুলতান মাহমুদ গজনীর সিংহাসনে বসেন। 1001 খ্রিস্টাব্দে তিনি প্রথম ভারত বর্ষ আক্রমণ করেন এবং পাঞ্জাবের সম্রাট জয়পালকে ওয়াইহিন্দের প্রথম যুদ্ধে পরাস্ত এবং নিহত করেন। 1008 খ্রিস্টাব্দে তিনি পাঞ্জাবের হিন্দু শাহী শাসক আনন্দ পাল কে ওয়াইহিন্দের দ্বিতীয় যুদ্ধে পরাস্ত করেন। 1001 খ্রিস্টাব্দ থেকে 1027 খ্রিস্টাব্দের মধ্যে তিনি মোট 17 বার ভারত বর্ষ আক্রমণ করেন। তিনি থানেশ্বর, মথুরা এবং কনৌজ লুন্ঠন করে। 1025 খ্রিস্টাব্দে 80 হাজার সৈন্য নিয়ে তিনি গুজরাটের অনহিলবাড়ার ( কাথিয়াবাড় উপকূলে অবস্থিত ) সোমনাথ মন্দির লুণ্ঠন করেন। এখান থেকে তিনি দু'কোটি স্বর্ণমুদ্রা, 200 মন সোনা এবং প্রচুর ধন সম্পদ লুন্ঠন করেন। তার ভারত বর্ষ আক্রমণের মূল উদ্দেশ্য ছিল কেবলমাত্র লুণ্ঠন সাম্রাজ্য বিস্তার নয়। তিনজন বিখ্যাত ব্যক্তি তার রাজসভা অলংকৃত করতেন – শাহনামার রচয়িতা পারসিক কবি ফিরদৌসি, তহকিক-ই-হিন্দ গ্রন্থের রচয়িতা আল-বিরুনী এবং কিতাব-উদ-ইয়ামিনি গ্রন্থের রচয়িতা উতবি।
• মহম্মদ ঘোরী : মোহাম্মদ ঘোরী আফগানিস্তানের একটি ছোট্ট রাজ্যের শাসক ছিলেন। সুলতান মাহমুদের মতো কেবলমাত্র ভারত বর্ষ লুণ্ঠন তার উদ্দেশ্য ছিল না, তিনি উত্তর ভারত কে তার সাম্রাজ্যভুক্ত করতে চেয়েছিলেন । 1191 খ্রিস্টাব্দে দিল্লি ও আজমিরের চৌহান বংশীয় রাজা তৃতীয় পৃথ্বীরাজ চৌহান এর কাছে মোহাম্মদ ঘোরী তরাইনের প্রথম যুদ্ধে পরাস্ত হন। যুদ্ধের কারণ হিসাবে চারণ কবি চাঁদবরদৈ এর ‘পৃথ্বীরাজ রাসো' গ্রন্থে উল্লেখ আছে কনৌজের গাহোড়বাল বংশীয় রাজা জয় চাঁদের সুন্দরী কন্যা সংযুক্তা কে অপহরণ করে পৃথ্বীরাজ বিবাহ করলে অপমানিত হয়ে জয়চাঁদ তার বিরুদ্ধে মোহাম্মদ ঘড়িকে যুদ্ধে প্ররোচিত করেন। 1192 খ্রিস্টাব্দে পূর্ব পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে মহম্মদ ঘোড়ি পৃথ্বীরাজ এর বিরুদ্ধে আবার অস্ত্র ধারণ করেন এবং দ্বিতীয় তরাইনের যুদ্ধে তাকে পরাস্ত করেন। দিল্লিতে সুলতানি রাজ স্থাপিত হয়। 1194 খ্রিস্টাব্দে কনৌজের রাজা জয় চাঁদকে চান্দরের যুদ্ধে পরাজিত করেন। 1206 খ্রিস্টাব্দে মোহাম্মদ ঘোরী সিন্ধুর খোকর বা ইসলামিয়া সম্প্রদায়ের আক্রমণে নিহত হলে তার ক্রীতদাস ও সেনাপতি কুতুবউদ্দিন আইবক দিল্লিতে দাস বংশের প্রতিষ্ঠা করেন।
No comments:
Post a Comment
Note: Only a member of this blog may post a comment.