•ভূগোল শব্দের অর্থ : খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতকে মিসরবাসী গ্রীক চিন্তাবিদ এরাটোস্থেনিস সর্বপ্রথম ‘Geography’ শব্দটি ব্যবহার করেন। তিনি সর্ব প্রথম পৃথিবীর পরিধি নির্ণয় করেন। তার মাপে পৃথিবীর পরিধি নির্ণীত হয় 2500 স্টেডিয়া। 10 স্টেডিয়া = 1 মাইল বা 1.6 কিমি। গ্রিক শব্দ ‘Geo’ কথার অর্থ ‘Earth' বা ‘পৃথিবী’ এবং ‘Graphein' কথার অর্থ ‘লিখন' বা ‘বিবরণ’। তাই ভূগোল কথার মানে ‘পৃথিবীর বিবরন'।
•মহাবিশ্ব : কোটি কোটি জ্যোতিষ্ক অর্থাৎ গ্রহ, উপগ্রহ, নক্ষত্র, গ্রহাণুপুঞ্জ এবং ধূলিকণা, গ্যাস প্রভৃতি রয়েছে অসীম মহাশূন্যে। এই সমস্ত কিছু নিয়েই মহাবিশ্ব গঠিত। খালি চোখে রাতের আকাশে আমরা প্রায় 6 হাজার তারা দেখতে পাই।
•বিগ ব্যাং থিওরি : মহাবিশ্বের সমস্ত পদার্থ একটা বালির কণার থেকেও ছোট অবস্থায় ছিল। প্রায় 1400 কোটি বছর আগে একটি বিস্ফোরণে তার প্রসারণ শুরু হয়। প্রচুর তাপ আর অকল্পনীয় শক্তি ছড়িয়ে পড়ে। সেই সঙ্গে প্রচুর ধূলিকণা ও গ্যাসের মহাজাগতিক মেঘ সৃষ্টি হয়। কোটি কোটি বছর ধরে এই ধুলোর মেঘ, গ্যাস থেকে তৈরি হয় অসংখ্য নীহারিকা, ছায়াপথ, নক্ষত্র, গ্রহ, উপগ্রহ, ধুমকেতু, উল্কা প্রভৃতি। মহাবিশ্বের সবকিছুই চলমান অবস্থায় আছে এবং ক্রমাগত একে অপর থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।
•নীহারিকা : মহাবিশ্ব সৃষ্টির সময় যে অসংখ্য ধূলিকণা ও গ্যাসের মহাজাগতিক মেঘ তৈরি হয় তা হলো নীহারিকা (Nebula)।
•নক্ষত্র : মহাবিশ্ব সৃষ্টির প্রায় 10 লক্ষ বছর পরে নীহারিকার গ্যাসীয় পদার্থ গুলি প্রচন্ড গতিতে একে অপরের সঙ্গে মিলে গিয়ে প্রকাণ্ড আকারের জ্বলন্ত নক্ষত্রের জন্ম দেয়। সূর্যের পরেই আমাদের সবচেয়ে কাছের নক্ষত্র প্রক্সিমা সেন্টাউরি প্রায় 41 লক্ষ কোটি কিলোমিটার বা 4.2 আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। এরপর আমাদের নিকটতম নক্ষত্র হলো আলফা সেন্টাউরি, যা 4.3 আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। সৌরজগতের বাইরে সবচেয়ে উজ্জ্বলতম নক্ষত্র হলো সিরিয়াস বা ডগ স্টার।
•ছায়াপথ : লক্ষ লক্ষ নক্ষত্র নিয়ে একটা ছায়াপথ বা গ্যালাক্সি তৈরি হয়। ছায়াপথগুলো পেঁচানো বা ডিম্বাকার নানারকম আকৃতির হয়। প্রায় 10 হাজার কোটি নক্ষত্র, গ্যাস, ধূলিকণা নিয়ে আকাশগঙ্গা (Milky Way Galaxy) একটা বিরাট প্যাঁচানো ছায়াপথ। সৌর জগত এই আকাশগঙ্গা ছায়াপথের অংশ।
•নক্ষত্র মন্ডল : রাতের আকাশে কাছাকাছি থাকা তারা গুলোকে কাল্পনিকভাবে যোগ করলে বিভিন্ন আকৃতি তৈরি হয়। এরকম এক একটা তারার ঝাঁক কে বলে নক্ষত্র মন্ডল (constellation)। উদাহরণ – উত্তর আকাশে সাতটি নক্ষত্র নিয়ে তৈরি জিজ্ঞাসা চিহ্নের মতো দেখতে সপ্তর্ষিমণ্ডল, ইংরেজি M অক্ষরের মতো ক্যাসিওপিয়া, ক্রুশ চিহ্নের মতো বকমণ্ডল, কালপুরুষ প্রভৃতি।
•ব্ল্যাক হোল : ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণ গহ্বর মহাবিশ্বের এমন একটি বস্তু যাতে একটি অতি ক্ষুদ্র আয়তনে বিপুল পরিমাণ ভর সঞ্চিত থাকে। মহাবিশ্বের কোন বস্তুই ব্ল্যাকহোলের মহাকর্ষীয় শক্তির থেকে বের হতে পারে না, এমনকি তড়িৎ চুম্বকীয় তরঙ্গ যেমন আলোও নয়। বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন 1916 খ্রিস্টাব্দে তাঁর জেনারেল থিওরি অফ রিলেটিভিটি তে প্রথম ব্ল্যাকহোলের অস্তিত্বের ধারণা দেন। সাধারণত কোন একটি নক্ষত্র চুপসে গেলে ব্ল্যাক হোলে পরিণত হয়। সব চুপসে পড়া নক্ষত্র ব্ল্যাক হোলে পরিণত হয় না। কোন নক্ষত্রকে ব্ল্যাক হোলে পরিণত হতে গেলে তার ব্যাসার্ধ হতে হবে R = 2GM/C² যেখানে M বস্তু বা নক্ষত্রটির ভর, G মহাকর্ষীয় ধ্রুবক, C আলোর বেগ। এই ব্যাসার্ধ কে শোয়ার্জশিল্ড ব্যাসার্ধ বলে। বিজ্ঞানী কার্ল শোয়ার্জশিল্ড 1916 সালে এই সূত্রটি আবিষ্কার করেন।
•বিগ ব্যাং থিওরি : মহাবিশ্বের সমস্ত পদার্থ একটা বালির কণার থেকেও ছোট অবস্থায় ছিল। প্রায় 1400 কোটি বছর আগে একটি বিস্ফোরণে তার প্রসারণ শুরু হয়। প্রচুর তাপ আর অকল্পনীয় শক্তি ছড়িয়ে পড়ে। সেই সঙ্গে প্রচুর ধূলিকণা ও গ্যাসের মহাজাগতিক মেঘ সৃষ্টি হয়। কোটি কোটি বছর ধরে এই ধুলোর মেঘ, গ্যাস থেকে তৈরি হয় অসংখ্য নীহারিকা, ছায়াপথ, নক্ষত্র, গ্রহ, উপগ্রহ, ধুমকেতু, উল্কা প্রভৃতি। মহাবিশ্বের সবকিছুই চলমান অবস্থায় আছে এবং ক্রমাগত একে অপর থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।
•নীহারিকা : মহাবিশ্ব সৃষ্টির সময় যে অসংখ্য ধূলিকণা ও গ্যাসের মহাজাগতিক মেঘ তৈরি হয় তা হলো নীহারিকা (Nebula)।
•নক্ষত্র : মহাবিশ্ব সৃষ্টির প্রায় 10 লক্ষ বছর পরে নীহারিকার গ্যাসীয় পদার্থ গুলি প্রচন্ড গতিতে একে অপরের সঙ্গে মিলে গিয়ে প্রকাণ্ড আকারের জ্বলন্ত নক্ষত্রের জন্ম দেয়। সূর্যের পরেই আমাদের সবচেয়ে কাছের নক্ষত্র প্রক্সিমা সেন্টাউরি প্রায় 41 লক্ষ কোটি কিলোমিটার বা 4.2 আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। এরপর আমাদের নিকটতম নক্ষত্র হলো আলফা সেন্টাউরি, যা 4.3 আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। সৌরজগতের বাইরে সবচেয়ে উজ্জ্বলতম নক্ষত্র হলো সিরিয়াস বা ডগ স্টার।
•ছায়াপথ : লক্ষ লক্ষ নক্ষত্র নিয়ে একটা ছায়াপথ বা গ্যালাক্সি তৈরি হয়। ছায়াপথগুলো পেঁচানো বা ডিম্বাকার নানারকম আকৃতির হয়। প্রায় 10 হাজার কোটি নক্ষত্র, গ্যাস, ধূলিকণা নিয়ে আকাশগঙ্গা (Milky Way Galaxy) একটা বিরাট প্যাঁচানো ছায়াপথ। সৌর জগত এই আকাশগঙ্গা ছায়াপথের অংশ।
•নক্ষত্র মন্ডল : রাতের আকাশে কাছাকাছি থাকা তারা গুলোকে কাল্পনিকভাবে যোগ করলে বিভিন্ন আকৃতি তৈরি হয়। এরকম এক একটা তারার ঝাঁক কে বলে নক্ষত্র মন্ডল (constellation)। উদাহরণ – উত্তর আকাশে সাতটি নক্ষত্র নিয়ে তৈরি জিজ্ঞাসা চিহ্নের মতো দেখতে সপ্তর্ষিমণ্ডল, ইংরেজি M অক্ষরের মতো ক্যাসিওপিয়া, ক্রুশ চিহ্নের মতো বকমণ্ডল, কালপুরুষ প্রভৃতি।
•ব্ল্যাক হোল : ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণ গহ্বর মহাবিশ্বের এমন একটি বস্তু যাতে একটি অতি ক্ষুদ্র আয়তনে বিপুল পরিমাণ ভর সঞ্চিত থাকে। মহাবিশ্বের কোন বস্তুই ব্ল্যাকহোলের মহাকর্ষীয় শক্তির থেকে বের হতে পারে না, এমনকি তড়িৎ চুম্বকীয় তরঙ্গ যেমন আলোও নয়। বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন 1916 খ্রিস্টাব্দে তাঁর জেনারেল থিওরি অফ রিলেটিভিটি তে প্রথম ব্ল্যাকহোলের অস্তিত্বের ধারণা দেন। সাধারণত কোন একটি নক্ষত্র চুপসে গেলে ব্ল্যাক হোলে পরিণত হয়। সব চুপসে পড়া নক্ষত্র ব্ল্যাক হোলে পরিণত হয় না। কোন নক্ষত্রকে ব্ল্যাক হোলে পরিণত হতে গেলে তার ব্যাসার্ধ হতে হবে R = 2GM/C² যেখানে M বস্তু বা নক্ষত্রটির ভর, G মহাকর্ষীয় ধ্রুবক, C আলোর বেগ। এই ব্যাসার্ধ কে শোয়ার্জশিল্ড ব্যাসার্ধ বলে। বিজ্ঞানী কার্ল শোয়ার্জশিল্ড 1916 সালে এই সূত্রটি আবিষ্কার করেন।
•মহাকাশে দূরত্ব নির্ণয়ক একক :
•আলোকবর্ষ : আলো 3 × 10^8 মিটার/সেকেন্ড বেগে এক বছরে যত দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে এক আলোকবর্ষ বলে।
•অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিট (A.U.) : সূর্য এবং পৃথিবীর মধ্যেকার গড় দূরত্বকে এক অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিট ধরা হয়। এক আলোকবর্ষ সমান 60,000 A.U. ।
•পারসেক : পারসেক দূরত্ব পরিমাপের অপর একটি একক। এক পারসেক সমান 3.26 আলোকবর্ষ।
•আলোকবর্ষ : আলো 3 × 10^8 মিটার/সেকেন্ড বেগে এক বছরে যত দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে এক আলোকবর্ষ বলে।
•অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিট (A.U.) : সূর্য এবং পৃথিবীর মধ্যেকার গড় দূরত্বকে এক অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিট ধরা হয়। এক আলোকবর্ষ সমান 60,000 A.U. ।
•পারসেক : পারসেক দূরত্ব পরিমাপের অপর একটি একক। এক পারসেক সমান 3.26 আলোকবর্ষ।
No comments:
Post a Comment
Note: Only a member of this blog may post a comment.