•ভারতের জলবায়ুর প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো ঋতু পরিবর্তন।
•ভারতের জলবায়ু মৌসুমী বায়ু দ্বারা সর্বাধিক প্রভাবিত। এজন্য ভারতকে "আন্তঃ মৌসুমি জলবায়ুর দেশ" বলা হয়।
•ভারতে প্রবাহিত মৌসুমী বায়ু একটি সাময়িক বায়ু।
•মৌসুমী কথাটি আরবি শব্দ 'মৌসিম' থেকে নেওয়া হয়েছে। এর অর্থ ঋতু।
•মৌসুমি বিস্ফোরণ হয় গ্রীষ্মকালের শেষে। মৌসুমী বিস্ফোরণের ফলে বর্ষাকালের সূচনা হয়।
•ভারতের মোট বৃষ্টিপাতের 84% গ্রীস্ম ও বর্ষা কালে, 13% শরৎকালের এবং 3% শীতকালে সংঘটিত হয়।
•ভারতে বৃষ্টিপাতের অধিকাংশই শৈলোৎক্ষেপ পদ্ধতিতে হয়।
•চেরাপুঞ্জির নিকটবর্তী মওসীনরাম ভারত তথা বিশ্বের সর্বাধিক বৃষ্টিপাতযুক্ত অঞ্চল। এখানে বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ 1250 - 1400 সেন্টিমিটার।
•তামিলনাড়ুর করমন্ডল উপকূলের থাঞ্জাভুর জেলায় বছরে দুবার বৃষ্টিপাত হয়, বর্ষাকালে এবং শীতকালের শুরুতে।
•দক্ষিণ ভারতের কর্ণাটক ও কেরালা রাজ্যে গ্রীষ্মকালে এপ্রিল মাসে বজ্র বিদ্যুৎসহ যে ঝড় বৃষ্টি হয় তাকে আম্র বৃষ্টি বলে। কর্ণাটকে আম্র বৃষ্টি "চেরি ব্লোসোমস" নামে পরিচিত।
•উত্তর পূর্ব মৌসুমি বায়ু শীতল এবং শুষ্ক।
•গ্রীষ্মকালে উত্তর-পশ্চিম এবং উত্তর ভারতে নিম্নচাপ কে কেন্দ্র করে যে ধূলিঝড় হয় তাকে আঁধি বলে।
•গ্রীষ্মকালে বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে ভারতের উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান, বিহার প্রভৃতি অঞ্চলে শো শো শব্দ করে উত্তপ্ত বায়ু প্রবল বেগে প্রবাহিত হয় একে 'লু' বলে।
•দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর দুটি শাখা। আরব সাগরীয় শাখা এবং বঙ্গোপসাগরীয় শাখা।
•ভারতের দুটি বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল হল শিলং মালভূমি এবং পশ্চিমঘাট পর্বতের পূর্ব ঢাল।
•লাদাখ ভারতের একটি শীতল মরু মালভূমি।
•গ্রীষ্মকালে (এপ্রিল-মে মাসে) বিকালে পশ্চিমবঙ্গ ও তার নিকটবর্তী অঞ্চলে মাঝে মাঝে বজ্রবিদ্যুৎ ও বৃষ্টিপাত সহ এক ভীষণ ঝড় ওঠে, এই ঝড় "কালবৈশাখী" নামে পরিচিত। কালবৈশাখী ঝড় কে অসমে "বরদৈছিলা" বলে।
•ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তর পশ্চিম অংশে শীতকালে যে নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাত এর আগমন ঘটে তাকে পশ্চিমা ঝন্ঝা বা পশ্চিমা ঝামেলা বলে। আটলান্টিক মহাসাগর ও ভূমধ্য সাগরের উপর গঠিত এই ঘূর্ণবাতে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প থাকে। পশ্চিমা বায়ু উত্তর-পশ্চিম ভারতের জম্মু কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ, পাঞ্জাব, উত্তরাখান্ড ও উত্তর প্রদেশে প্রবেশ করে বৃষ্টিপাত ও তুষারপাত ঘটায়।
•শরৎকালের ভারতের উপকূল অঞ্চলে মাঝে মাঝে ঘূর্ণিঝড় সহ বৃষ্টিপাত হয়। পশ্চিমবঙ্গে প্রধানত আশ্বিন মাসে এই ধরনের ঘূর্ণিঝড় এর আবির্ভাব ঘটে বলে একে আশ্বিনের ঝড় বলা হয়। দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রত্যাবর্তন এর ফলে এই ঝড় সংঘটিত হয়।
•বৃষ্টিপাত যদি স্বাভাবিক হারের চেয়ে 25% কম হয় তাকে স্বল্প খরা, 50% কম হলে মাঝারি খরা এবং 75% কম হলে তাকে তীব্র খরা বলে।
•দক্ষিণ ভারতের জলবায়ু সমভাবাপন্ন।
•তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাত এবং স্বাভাবিক উদ্ভিদের তারতম্যের উপর ভিত্তি করে আবহাওয়াবিদ কোপেন ভারতকে 8 টি জলবায়ু অঞ্চলে ভাগ করেছেন।
No comments:
Post a Comment
Note: Only a member of this blog may post a comment.