• ইলিয়াস শাহী বংশ :
• শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ : শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ 1342 খ্রিস্টাব্দে বাংলায় ইলিয়াস শাহী বংশের প্রতিষ্ঠা করেন। 1353 খ্রিস্টাব্দে স্বাধীন বাংলাকে জয় করার উদ্দেশ্যে দিল্লির সুলতান ফিরোজ তুঘলক 90 হাজার অশ্বারোহী সৈন্য নিয়ে বাংলা আক্রমন করেন। দিল্লির সেনাদলকে কোন বাধা না দিয়ে ইলিয়াস শাহ সপরিবারে দিনাজপুরের একডালা দুর্গে আশ্রয় গ্রহণ করেন। কয়েক মাস অবরোধের পরেও ফিরোজ তুঘলক বাংলার নবাবের কোন ক্ষতি করতে পারেননি বরং বাংলার প্রবল বর্ষণ ও মশার কামড়ে সুলতানের সেনাবাহিনী ও ঘোড়াগুলি অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে এবং তিনি দিল্লি ফিরে যেতে বাধ্য হন।
• সিকান্দার শাহ : 1359 খ্রীস্টাব্দে দিল্লির ফিরোজ তুঘলক পুনরায় বাংলা আক্রমণ করেন। পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে সিকন্দর শাহ একডালা দুর্গে আশ্রয় গ্রহণ করেন। কয়েক মাস অবরোধের পরেও ফিরোজ তুঘলক দুর্গ অধিকারে ব্যর্থ হন এবং দু'পক্ষের সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়। এই সন্ধির দ্বারা দিল্লি কার্যত বাংলার স্বাধীনতা মেনে নেয়। পান্ডুয়ার বিখ্যাত আদিনা মসজিদ ও কোতোয়ালী দরওয়াজা তার আমলে তৈরি হয়।
• সিকন্দর শাহের পুত্র গিয়াসউদ্দিন আজম চীন দেশে সম্রাট ইয়ংলো’র দরবারে দুত পাঠান।
• 1487 খ্রিস্টাব্দে জনৈক হাবসি ক্রীতদাস জালাল উদ্দিন ফতে শাহ কে হত্যা করলে ইলিয়াস শাহী বংশের অবসান ঘটে । জালালউদ্দিন ফতে শাহ ছিলেন এই বংশের শেষ রাজা।
• ইলিয়াস শাহী যুগে কৃত্তিবাসের রামায়ণ রচিত হয়েছিল।
• হোসেন শাহী বংশ : 1487 খ্রিস্টাব্দে জালালউদ্দিন ফতে শাহের হত্যার পর থেকে 1493 খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বাংলায় হাবসি দের শাসন চলতে থাকে। বাংলার ইতিহাসে এই হাবসি শাসন অন্ধকার যুগ হিসেবে পরিচিত।
• আলাউদ্দিন হোসেন শাহ : হাবসি সুলতান মুজাফফর কে বন্দী করে সৈয়দ হোসেন বাংলার সিংহাসনে বসেন এবং আলাউদ্দিন হোসেন শাহ নাম ধারন করেন। বাংলায় হোসেন শাহী বংশের প্রতিষ্ঠা হয়। আলাউদ্দিন হোসেন শাহ মধ্যযুগের বাংলার সর্বশ্রেষ্ঠ শাসক ছিলেন। কার উপাধি ছিল ‘নৃপতি-তিলক' । তার আমলে চৈতন্য দেবের আবির্ভাব ঘটে। তার পরধর্ম সহিষ্ণুতার জন্য তাকে বাংলার আকবর বলা হয়। গোপীনাথ বসু ( পুরন্দর খা ) হুসেন শাহের উজির ছিলেন। মালাধর বসু, যশোরাজ খাঁ, কবীন্দ্র পরমেশ্বর, শ্রীকর নন্দী, দামোদর, কবিরঞ্জন, শ্রীধর, বিজয় গুপ্ত প্রমুখ সাহিত্যিকগণ হুসেন শাহের পৃষ্ঠপোষকতা অর্জন করেন। তারা আদেশে মালাধর বসু শ্রীমদভাগবত এর বাংলা অনুবাদ করেন। এজন্য তিনি মালাধর বসুকে গুনরাজ খাঁ উপাধি দেন। বৈষ্ণব রূপ গোস্বামী সংস্কৃতে বিদগ্ধ মাধব ও ললিত মাধব নামে দুটি গ্রন্থ রচনা করেন। তার সেনাপতি পরাগল খাঁর পৃষ্ঠপোষকতায় কবীন্দ্র পরমেশ্বর মহাভারত এর বাংলা অনুবাদ করেন। এই যুগে কৃষ্ণদাস কবিরাজের চৈতন্যচরিতামৃত, বিপ্রদাস পিপিলাই এর মনসামঙ্গল, জয়ানন্দর চৈতন্যমঙ্গল রচিত হয়। হোসেন শাহর আমলে ছোট সোনা মসজিদ এবং নসরৎ শাহের আমলে বড় সোনা মসজিদ, কদম রসূল ও হোসেন শাহের সমাধির ওপর এক লক্ষ টাকা ব্যয়ে তৈরি পান্ডুয়ার একলাখী মসজিদ নির্মিত হয়।
• শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ : শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ 1342 খ্রিস্টাব্দে বাংলায় ইলিয়াস শাহী বংশের প্রতিষ্ঠা করেন। 1353 খ্রিস্টাব্দে স্বাধীন বাংলাকে জয় করার উদ্দেশ্যে দিল্লির সুলতান ফিরোজ তুঘলক 90 হাজার অশ্বারোহী সৈন্য নিয়ে বাংলা আক্রমন করেন। দিল্লির সেনাদলকে কোন বাধা না দিয়ে ইলিয়াস শাহ সপরিবারে দিনাজপুরের একডালা দুর্গে আশ্রয় গ্রহণ করেন। কয়েক মাস অবরোধের পরেও ফিরোজ তুঘলক বাংলার নবাবের কোন ক্ষতি করতে পারেননি বরং বাংলার প্রবল বর্ষণ ও মশার কামড়ে সুলতানের সেনাবাহিনী ও ঘোড়াগুলি অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে এবং তিনি দিল্লি ফিরে যেতে বাধ্য হন।
• সিকান্দার শাহ : 1359 খ্রীস্টাব্দে দিল্লির ফিরোজ তুঘলক পুনরায় বাংলা আক্রমণ করেন। পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে সিকন্দর শাহ একডালা দুর্গে আশ্রয় গ্রহণ করেন। কয়েক মাস অবরোধের পরেও ফিরোজ তুঘলক দুর্গ অধিকারে ব্যর্থ হন এবং দু'পক্ষের সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়। এই সন্ধির দ্বারা দিল্লি কার্যত বাংলার স্বাধীনতা মেনে নেয়। পান্ডুয়ার বিখ্যাত আদিনা মসজিদ ও কোতোয়ালী দরওয়াজা তার আমলে তৈরি হয়।
• সিকন্দর শাহের পুত্র গিয়াসউদ্দিন আজম চীন দেশে সম্রাট ইয়ংলো’র দরবারে দুত পাঠান।
• 1487 খ্রিস্টাব্দে জনৈক হাবসি ক্রীতদাস জালাল উদ্দিন ফতে শাহ কে হত্যা করলে ইলিয়াস শাহী বংশের অবসান ঘটে । জালালউদ্দিন ফতে শাহ ছিলেন এই বংশের শেষ রাজা।
• ইলিয়াস শাহী যুগে কৃত্তিবাসের রামায়ণ রচিত হয়েছিল।
• হোসেন শাহী বংশ : 1487 খ্রিস্টাব্দে জালালউদ্দিন ফতে শাহের হত্যার পর থেকে 1493 খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বাংলায় হাবসি দের শাসন চলতে থাকে। বাংলার ইতিহাসে এই হাবসি শাসন অন্ধকার যুগ হিসেবে পরিচিত।
• আলাউদ্দিন হোসেন শাহ : হাবসি সুলতান মুজাফফর কে বন্দী করে সৈয়দ হোসেন বাংলার সিংহাসনে বসেন এবং আলাউদ্দিন হোসেন শাহ নাম ধারন করেন। বাংলায় হোসেন শাহী বংশের প্রতিষ্ঠা হয়। আলাউদ্দিন হোসেন শাহ মধ্যযুগের বাংলার সর্বশ্রেষ্ঠ শাসক ছিলেন। কার উপাধি ছিল ‘নৃপতি-তিলক' । তার আমলে চৈতন্য দেবের আবির্ভাব ঘটে। তার পরধর্ম সহিষ্ণুতার জন্য তাকে বাংলার আকবর বলা হয়। গোপীনাথ বসু ( পুরন্দর খা ) হুসেন শাহের উজির ছিলেন। মালাধর বসু, যশোরাজ খাঁ, কবীন্দ্র পরমেশ্বর, শ্রীকর নন্দী, দামোদর, কবিরঞ্জন, শ্রীধর, বিজয় গুপ্ত প্রমুখ সাহিত্যিকগণ হুসেন শাহের পৃষ্ঠপোষকতা অর্জন করেন। তারা আদেশে মালাধর বসু শ্রীমদভাগবত এর বাংলা অনুবাদ করেন। এজন্য তিনি মালাধর বসুকে গুনরাজ খাঁ উপাধি দেন। বৈষ্ণব রূপ গোস্বামী সংস্কৃতে বিদগ্ধ মাধব ও ললিত মাধব নামে দুটি গ্রন্থ রচনা করেন। তার সেনাপতি পরাগল খাঁর পৃষ্ঠপোষকতায় কবীন্দ্র পরমেশ্বর মহাভারত এর বাংলা অনুবাদ করেন। এই যুগে কৃষ্ণদাস কবিরাজের চৈতন্যচরিতামৃত, বিপ্রদাস পিপিলাই এর মনসামঙ্গল, জয়ানন্দর চৈতন্যমঙ্গল রচিত হয়। হোসেন শাহর আমলে ছোট সোনা মসজিদ এবং নসরৎ শাহের আমলে বড় সোনা মসজিদ, কদম রসূল ও হোসেন শাহের সমাধির ওপর এক লক্ষ টাকা ব্যয়ে তৈরি পান্ডুয়ার একলাখী মসজিদ নির্মিত হয়।
No comments:
Post a Comment
Note: Only a member of this blog may post a comment.