• মৌর্য সাম্রাজ্য : কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র, মেগাস্থিনিসের ইন্ডিকা, বিশাখদত্তের মুদ্রারাক্ষস, ক্ষেমেন্দ্রের বৃহৎ কথামঞ্জুরী, সোমদেব ভট্টের কথাসরিৎসাগর কথামালা, বৌদ্ধ ও জৈন গ্রন্থ, পুরাণ ও অশোকের শিলালিপি প্রভৃতি থেকে মৌর্য সাম্রাজ্যের ইতিহাস জানা যায় ।
• চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য : চন্দ্রগুপ্ত 324 খ্রিস্টপূর্বাব্দে চাণক্য বা কৌটিল্যের সহযোগিতায় নন্দবংশের অত্যাচারী রাজা ধননন্দ কে পরাস্ত করে মগধে মৌর্য বংশের প্রতিষ্ঠা করেন । পুরান মতে তার মাতা অথবা মাতামহি মুরার নাম থেকে এই বংশ মৌর্য বংশ নামে পরিচিত, অপরদিকে বৌদ্ধ গ্রন্থ অনুসারে তিনি হিমালয়ের পাদদেশে পিপ্পলিবন নামক স্থানে মোরিয় নামে এক প্রজাতান্ত্রিক ক্ষত্রিয় গোষ্ঠীর সন্তান ছিলেন । এর থেকেই তার প্রতিষ্ঠিত রাজবংশ মৌর্য বংশ নামে পরিচিত হয়েছে । 300 খ্রিস্টপূর্বাব্দে আলেকজান্ডারের সেনাপতি সেলুকাস ভারত বর্ষ আক্রমণ করলে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের সঙ্গে তার যুদ্ধ হয় এই যুদ্ধে সেলুকাস পরাজিত হন এবং তার কন্যা হেলেনের সঙ্গে চন্দ্রগুপ্তের বিবাহ দেন । সেলুকাস চন্দ্রগুপ্তের সভায় মেগাস্থিনিস নামে একজন গ্রীক দূত কে পাঠান । শক রাজা রুদ্রদামনের জুনাগড় লিপি থেকে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের সৌরাষ্ট্র বা গুজরাট জয়ের ইতিহাস জানা যায় । শেষ জীবনে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য জৈন ধর্ম গ্রহণ করেন এবং জৈন প্রথা অনুসারে মহীশূরের শ্রবণবেলগোল নামক স্থানে অনশনে দেহত্যাগ করেন ।
• বিন্দুসার : চন্দ্র গুপ্তের মৃত্যুর পর তার পুত্র বিন্দুসার সিংহাসনে আরোহন করেন । তিনি অমিত্রাঘাত উপাধি গ্রহণ করেন ।
• অশোক : বিন্দুসারের মৃত্যুর পর তার পুত্র অশোক 273 খ্রিস্টপূর্বাব্দে মগধের সিংহাসনে বসেন । সিংহাসনে বসার চার বছর পর 269 খ্রীষ্টপূর্বাব্দে তার রাজ্যাভিষেক হয় । বৌদ্ধ সাহিত্য অনুসারে তিনি 99 জন ভাইকে হত্যা করে সিংহাসনে বসেন এজন্য তাকে চন্ডাশোক বলা হয় । 261 খ্রিস্টপূর্বাব্দে তিনি কলিঙ্গ রাজ্য আক্রমণ করেন । কলিঙ্গ যুদ্ধের ফলে দেড় লক্ষ লোক নির্বাসিত হন এবং এক লক্ষ লোক মৃত্যুমুখে পতিত হয় । অশোকের ত্রয়োদশ শিলালিপিতে এই যুদ্ধের বর্ণনা আছে । এই যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি এবং ভয়াবহতা অশোকের জীবনে ব্যাপক পরিবর্তন আনে । তিনি উপ গুপ্তের কাছে বৌদ্ধ ধর্মে দীক্ষিত হন । প্রজাদের কল্যাণের জন্য তিনি কূপ খনন, বৃক্ষরোপণ, দাতব্য চিকিৎসালয় ও পশু চিকিৎসালয় গঠন, পান্থশালা নির্মাণ প্রভৃতি করেন । তিনি ধর্ম মহামাত্র নামে এক বিশেষ শ্রেণীর কর্মচারী নিযুক্ত করেন যাদের কাজ ছিল ভগবান বুদ্ধের বাণী প্রচার বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতি স্থাপন এবং প্রজাবর্গের ইহলৌকিক ও পরলৌকিক মঙ্গল সাধন । অশোক তার পুত্র মহেন্দ্র ও কন্যা সংঘমিত্রা কে বৌদ্ধ ধর্ম প্রচারের জন্য সিংহলে পাঠান , শোন ও উত্তর নামে দুজন ধর্ম দূতকে ব্রহ্ম দেশে পাঠান । অশোক সাঁচি স্তুপ নির্মাণ করেছিলেন । সারনাথের স্তম্ভের শীর্ষে চারটি সিংহমূর্তি আছে । ভারতের জাতীয় প্রতীক এখান থেকে নেওয়া হয়েছে । সারনাথের স্তম্ভের শীর্ষে মোট চারটি প্রাণী আছে – হাতি, ঘোড়া, বৃষ ও সিংহ । অশোকের কলিঙ্গ লিপিতে উল্লেখ আছে “ সবে মুনিষে পজা মমা “। অশোকের শিলালিপি গুলি ব্রাহ্মী, খরোষ্ঠী, আর্মেনীয় এবং গ্রীক ভাষায় রচিত হয়েছিল । জেমস প্রিন্সেপ অশোকের শিলালিপি পাঠোদ্ধার করেন ।
• 185 খ্রিস্টপূর্বাব্দে সেনাপতি পুষ্যমিত্র শুঙ্গ মৌর্য বংশের শেষ সম্রাট বৃহদ্রথ কে হত্যা করে মগধে শুঙ্গ বংশের প্রতিষ্ঠা করেন ।
• চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য : চন্দ্রগুপ্ত 324 খ্রিস্টপূর্বাব্দে চাণক্য বা কৌটিল্যের সহযোগিতায় নন্দবংশের অত্যাচারী রাজা ধননন্দ কে পরাস্ত করে মগধে মৌর্য বংশের প্রতিষ্ঠা করেন । পুরান মতে তার মাতা অথবা মাতামহি মুরার নাম থেকে এই বংশ মৌর্য বংশ নামে পরিচিত, অপরদিকে বৌদ্ধ গ্রন্থ অনুসারে তিনি হিমালয়ের পাদদেশে পিপ্পলিবন নামক স্থানে মোরিয় নামে এক প্রজাতান্ত্রিক ক্ষত্রিয় গোষ্ঠীর সন্তান ছিলেন । এর থেকেই তার প্রতিষ্ঠিত রাজবংশ মৌর্য বংশ নামে পরিচিত হয়েছে । 300 খ্রিস্টপূর্বাব্দে আলেকজান্ডারের সেনাপতি সেলুকাস ভারত বর্ষ আক্রমণ করলে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের সঙ্গে তার যুদ্ধ হয় এই যুদ্ধে সেলুকাস পরাজিত হন এবং তার কন্যা হেলেনের সঙ্গে চন্দ্রগুপ্তের বিবাহ দেন । সেলুকাস চন্দ্রগুপ্তের সভায় মেগাস্থিনিস নামে একজন গ্রীক দূত কে পাঠান । শক রাজা রুদ্রদামনের জুনাগড় লিপি থেকে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের সৌরাষ্ট্র বা গুজরাট জয়ের ইতিহাস জানা যায় । শেষ জীবনে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য জৈন ধর্ম গ্রহণ করেন এবং জৈন প্রথা অনুসারে মহীশূরের শ্রবণবেলগোল নামক স্থানে অনশনে দেহত্যাগ করেন ।
• বিন্দুসার : চন্দ্র গুপ্তের মৃত্যুর পর তার পুত্র বিন্দুসার সিংহাসনে আরোহন করেন । তিনি অমিত্রাঘাত উপাধি গ্রহণ করেন ।
• অশোক : বিন্দুসারের মৃত্যুর পর তার পুত্র অশোক 273 খ্রিস্টপূর্বাব্দে মগধের সিংহাসনে বসেন । সিংহাসনে বসার চার বছর পর 269 খ্রীষ্টপূর্বাব্দে তার রাজ্যাভিষেক হয় । বৌদ্ধ সাহিত্য অনুসারে তিনি 99 জন ভাইকে হত্যা করে সিংহাসনে বসেন এজন্য তাকে চন্ডাশোক বলা হয় । 261 খ্রিস্টপূর্বাব্দে তিনি কলিঙ্গ রাজ্য আক্রমণ করেন । কলিঙ্গ যুদ্ধের ফলে দেড় লক্ষ লোক নির্বাসিত হন এবং এক লক্ষ লোক মৃত্যুমুখে পতিত হয় । অশোকের ত্রয়োদশ শিলালিপিতে এই যুদ্ধের বর্ণনা আছে । এই যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি এবং ভয়াবহতা অশোকের জীবনে ব্যাপক পরিবর্তন আনে । তিনি উপ গুপ্তের কাছে বৌদ্ধ ধর্মে দীক্ষিত হন । প্রজাদের কল্যাণের জন্য তিনি কূপ খনন, বৃক্ষরোপণ, দাতব্য চিকিৎসালয় ও পশু চিকিৎসালয় গঠন, পান্থশালা নির্মাণ প্রভৃতি করেন । তিনি ধর্ম মহামাত্র নামে এক বিশেষ শ্রেণীর কর্মচারী নিযুক্ত করেন যাদের কাজ ছিল ভগবান বুদ্ধের বাণী প্রচার বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতি স্থাপন এবং প্রজাবর্গের ইহলৌকিক ও পরলৌকিক মঙ্গল সাধন । অশোক তার পুত্র মহেন্দ্র ও কন্যা সংঘমিত্রা কে বৌদ্ধ ধর্ম প্রচারের জন্য সিংহলে পাঠান , শোন ও উত্তর নামে দুজন ধর্ম দূতকে ব্রহ্ম দেশে পাঠান । অশোক সাঁচি স্তুপ নির্মাণ করেছিলেন । সারনাথের স্তম্ভের শীর্ষে চারটি সিংহমূর্তি আছে । ভারতের জাতীয় প্রতীক এখান থেকে নেওয়া হয়েছে । সারনাথের স্তম্ভের শীর্ষে মোট চারটি প্রাণী আছে – হাতি, ঘোড়া, বৃষ ও সিংহ । অশোকের কলিঙ্গ লিপিতে উল্লেখ আছে “ সবে মুনিষে পজা মমা “। অশোকের শিলালিপি গুলি ব্রাহ্মী, খরোষ্ঠী, আর্মেনীয় এবং গ্রীক ভাষায় রচিত হয়েছিল । জেমস প্রিন্সেপ অশোকের শিলালিপি পাঠোদ্ধার করেন ।
• 185 খ্রিস্টপূর্বাব্দে সেনাপতি পুষ্যমিত্র শুঙ্গ মৌর্য বংশের শেষ সম্রাট বৃহদ্রথ কে হত্যা করে মগধে শুঙ্গ বংশের প্রতিষ্ঠা করেন ।
No comments:
Post a Comment
Note: Only a member of this blog may post a comment.