• শুঙ্গ বংশ : পুশ্যমিত্র শুঙ্গ এই বংশের প্রতিষ্ঠা করেন । তিনি ব্যকট্রিয় রাজা দিমিট্রিয়াস কে পরাজিত করেন । গ্রিক দূত হেলিওডোরাস পঞ্চম শুঙ্গ রাজা ভগভদ্রের রাজসভায় এসেছিলেন । শুঙ্গ রাজা অগ্নিমিত্র কালিদাসের মালবিকাগ্নিমিত্রম গ্রন্থের মুখ্য চরিত্র । শুঙ্গরা ব্রাক্ষ্মণ ছিলেন । পতঞ্জলির 'মহাভাস্য' এই সময় রচিত হয়েছিল ।
• কাণ্ব রাজবংশ : 75 খ্রিষ্টপুর্বাব্দে শেষ শুঙ্গ সম্রাট দেবভূতিকে হত্যা করে বাসুদেব কাণ্ব বংশের প্রতিষ্ঠা করেন । 30 খ্রিষ্টপুর্বাব্দ পর্যন্ত তারা ভারতের পূর্ব অংশ শাসন করে । দাক্ষিণাত্যের সাতবাহণরা কাণ্ব বংশ ধ্বংস করে ।
• চেদি বংশ : অশোকের আমলে কলিঙ্গ মৌর্য সাম্রাজ্য ছিল । মৌর্যদের পরে কলিঙ্গ আবার স্বাধীন হয়ে যায় । চেদি বংশের রাজারা কলিঙ্গে শাসন কার্য শুরু করে । এই বংশের তৃতীয় সম্রাট কলিঙ্গ রাজ খারবেলের হস্তিগুম্ফা শিলালিপি ( ওড়িশার ভুবনেশ্বরের কাছে ) থেকে এই বংশের কথা জানা যায় । এই শিলালেখ টিতে ভারত বর্ষ শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছিল । খারবেল জৈন ধর্মের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন ।
• সাতবাহন বংশ : মহারাষ্ট্রে সাত বাহন বংশের প্রতিষ্ঠাতা সিমুক । সাতবাহন রা জাতিতে ব্রাহ্মণ ছিলেন। তারা খ্রিস্টপূর্ব প্রথম শতাব্দি থেকে 300 বছর রাজত্ব করেন। এই বংশের তৃতীয় রাজা ছিলেন প্রথম সাতকর্ণী । তার রানী নায়নিকা নানাঘাট শিলালিপি থেকে তার সম্পর্কে তথ্যাদি পাওয়া যায় । এই বংশের শ্রেষ্ঠ রাজা হলেন গৌতমী পুত্র সাতকর্ণী । তার মা গৌতমী বলশ্রীর নাসিক প্রশস্তি থেকে তার শাসন কাল সম্বন্ধে জানা যায় । ঔরঙ্গাবাদ জেলায় গোদাবরী নদীর তীরে অবস্থিত পৈঠান ছিল তার রাজধানী । তিনি শক্তিশালী শক ক্ষত্রপ নহপানকে পরাজিত করেন । নাসিক প্রশস্তি তে তাকে ‘সাতবাহন-কুল-যশঃ-প্রতিষ্ঠানকর' বলে বর্ণনা করা হয়েছে । বৌদ্ধ শিল্প ও স্থাপত্যে সাতবাহনদের অবদান উল্লেখ যোগ্য । কৃষ্ণা নদী উপত্যকার স্তুপগুলি তারাই নির্মাণ করেন । এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো অন্ধ্রপ্রদেশের অমরাবতী এবং নাগার্জুনকোন্ডার স্তুপগুলি । নাগার্জুনকোন্ডায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেছিল । এখানে আচার্য নাগার্জুন শিক্ষকতা করতেন । সাতবাহন রাজাদের সময় ‘পোটিন' নামে সিসার মুদ্রা প্রচলিত ছিল।
• কাণ্ব রাজবংশ : 75 খ্রিষ্টপুর্বাব্দে শেষ শুঙ্গ সম্রাট দেবভূতিকে হত্যা করে বাসুদেব কাণ্ব বংশের প্রতিষ্ঠা করেন । 30 খ্রিষ্টপুর্বাব্দ পর্যন্ত তারা ভারতের পূর্ব অংশ শাসন করে । দাক্ষিণাত্যের সাতবাহণরা কাণ্ব বংশ ধ্বংস করে ।
• চেদি বংশ : অশোকের আমলে কলিঙ্গ মৌর্য সাম্রাজ্য ছিল । মৌর্যদের পরে কলিঙ্গ আবার স্বাধীন হয়ে যায় । চেদি বংশের রাজারা কলিঙ্গে শাসন কার্য শুরু করে । এই বংশের তৃতীয় সম্রাট কলিঙ্গ রাজ খারবেলের হস্তিগুম্ফা শিলালিপি ( ওড়িশার ভুবনেশ্বরের কাছে ) থেকে এই বংশের কথা জানা যায় । এই শিলালেখ টিতে ভারত বর্ষ শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছিল । খারবেল জৈন ধর্মের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন ।
• সাতবাহন বংশ : মহারাষ্ট্রে সাত বাহন বংশের প্রতিষ্ঠাতা সিমুক । সাতবাহন রা জাতিতে ব্রাহ্মণ ছিলেন। তারা খ্রিস্টপূর্ব প্রথম শতাব্দি থেকে 300 বছর রাজত্ব করেন। এই বংশের তৃতীয় রাজা ছিলেন প্রথম সাতকর্ণী । তার রানী নায়নিকা নানাঘাট শিলালিপি থেকে তার সম্পর্কে তথ্যাদি পাওয়া যায় । এই বংশের শ্রেষ্ঠ রাজা হলেন গৌতমী পুত্র সাতকর্ণী । তার মা গৌতমী বলশ্রীর নাসিক প্রশস্তি থেকে তার শাসন কাল সম্বন্ধে জানা যায় । ঔরঙ্গাবাদ জেলায় গোদাবরী নদীর তীরে অবস্থিত পৈঠান ছিল তার রাজধানী । তিনি শক্তিশালী শক ক্ষত্রপ নহপানকে পরাজিত করেন । নাসিক প্রশস্তি তে তাকে ‘সাতবাহন-কুল-যশঃ-প্রতিষ্ঠানকর' বলে বর্ণনা করা হয়েছে । বৌদ্ধ শিল্প ও স্থাপত্যে সাতবাহনদের অবদান উল্লেখ যোগ্য । কৃষ্ণা নদী উপত্যকার স্তুপগুলি তারাই নির্মাণ করেন । এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো অন্ধ্রপ্রদেশের অমরাবতী এবং নাগার্জুনকোন্ডার স্তুপগুলি । নাগার্জুনকোন্ডায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেছিল । এখানে আচার্য নাগার্জুন শিক্ষকতা করতেন । সাতবাহন রাজাদের সময় ‘পোটিন' নামে সিসার মুদ্রা প্রচলিত ছিল।
No comments:
Post a Comment
Note: Only a member of this blog may post a comment.